শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৪, ০০:০০

চরভৈরবী মাছের আড়তে প্রকাশ্যে জাটকা ও পাঙ্গাশের পোনা বিক্রি

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি ॥
চরভৈরবী মাছের আড়তে প্রকাশ্যে জাটকা ও পাঙ্গাশের পোনা বিক্রি

জাতীয় সম্পদ ইলিশের বংশ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে মার্চ-এপ্রিল ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে মাছ ধরা শুরু করেছে জেলেরা। আড়তগুলোতেও মাছ বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। বেচা-কেনার প্রথম দিন থেকে উপজেলার সবচেয়ে বড় চরভৈরবী মাছের আড়তে ইলিশের পোনা জাটকা ও পাঙ্গাসের পোনা বেচাকেনা শুরু করেছে আড়তদাররা। ইলিশের পোনা নিধন ও বিক্রির কারণে ২ মাসের অভিযানের সফলতা বিফলের পথে। অভিযানের সফলতা বজায় রাখতে ও ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে হলে এ ইলিশের পোনা জাটকাগুলোকে রক্ষা করতে হবে। আড়তগুলোতে প্রশাসনের নজরদারি রাখার পাশাপাশি অভিযান অব্যাহত রাখার জোর দাবি জানান সুধীমহল।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চরভৈরবী মাছের আড়তে মাছ বিক্রি শুরু হয় ভোর ৬টায়। জেলেরা নদী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে আসে আড়তে। আড়তে বেচাকেনার শুরুতেই ইলিশের পোনা জাটকা ও পাঙ্গাশের পোনাগুলো প্রকাশ্যে ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করে আড়তের সরকার। পাইকারগণ এ জাটকা ও পাঙ্গাশের পোনাগুলো ক্রয় করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে। প্রকাশ্যে মাছ বিক্রি করতে পেরে জেলেরা উৎসাহিত হয়ে জাটকা ও পাঙ্গাশের পোনা নিধন করতে নদীতে ছুটে যায়। আড়তদার জেলেদের জাটকা ও পাঙ্গাশের পোনা নিধন করতে উৎসাহিত করে নদীতে পাঠায় মাছ নিধন করার জন্যে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলে ও জেলে প্রতিনিধি জানান, চরভৈরবী আড়তে যারা ব্যবসা করে এরা একটি প্রভাবশালী মহল। এদের কাছে দেশের সম্পদ ক্ষতি হলো কি হলো না তা বিষয় না, তাদের দরকার টাকা। তারা টাকার জন্যে সব করতে পারে। অভিযানের ২ মাস তারা ব্যবসা চালিয়েছে, অভিযান শেষে এখন ঘাটে জাটকা ও পাঙ্গাসের পোনা বিক্রি করছে।

ইলিশ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা বহাল রাখতে হলে ইলিশের পোনা জাটকা মাছকে ইলিশে রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। আমাদের জেলে ও আড়তদাররা এ সুযোগ কখনো দেয়নি, এবারও দিবে না। প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে, উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। চরভৈরবী আড়তে ভোরবেলা জাটকা ও পাঙ্গাশের পোনা বিক্রি হয়। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে মাছের দেখা মিলবে না। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এখনই পরিকল্পনা করে ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।

চরভৈরবী মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদারের সাথে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, ২ মাসের অভায়াশ্রম শেষ হলেও ৯ ইঞ্চির ছোট মাছ ধরা সব সময়ই নিষিদ্ধ। যদি কেউ ছোট মাছ (পোনা) নিধন করে আড়তে বিক্রি করে থাকে অবশ্যই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়