প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
সোনালী আঁশ খ্যাত পাটের পৃথিবী দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। উৎপাদন ব্যয়ের সাথে আয়ের ফারাক, বৈরী আবহাওয়ায় সঠিক সময় মাঠে পানি না আসা, প্রয়োজনমত জনবল না পাওয়ার কারণে কৃষক পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে আরো আগে। মূলত এ সকল কারণে দিন দিন পাটের পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে।
সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন কৃষিমাঠ ঘুরে দেখা যায়, মাঠগুলোতে পাটের জমি তেমন একটা নেই বললেই চলে। ফাঁকা মাঠের মাঝে মাঝে দুই-একটি পাটের জমি চোখে পড়ে।
কৃষকরা জানান, পাট কেটে
টেনে নিয়ে আসতে যে পানির প্রয়োজন সেই পানিটুকু এখনো মাঠে আসেনি। পাট পাকানোর জন্যে যে জাগ দেয়া হবে সেই পরিমাণ পানি কোথায়ও নেই। তাই পাট অনেকটা গলার কাঁটার মতো হয়ে গেছে।
বাকিলা ইউনিয়নের সন্না পশ্চিম মাঠে পাট চাষ করছেন এমন কৃষক আবুল খায়ের হাওলাদার জানান, পাটের বীজ রোপণের জন্যে জমি তৈরি, নিড়ানি দেয়া, পাট কাটা, জাগ দেয়া, আঁশ ছড়ানো, ধৌত করা, রোদে শুকানোর পরে গাড়ি ভাড়া দিয়ে বাজারে বিক্রি করলে মোট খরচের অর্ধেক দাম মিলে না। তাই পাট চাষ না করাই ভালো।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাজেদুর রহমান জানান, পাট চাষে প্রণোদনা, সার বীজের কোনো বরাদ্দ সরকারিভাবে পাওয়া যায়নি।