প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
স্কিম ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
পানির অভাবে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের জমি অনাবাদি
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ সাখুয়া গ্রামে পানির অভাবে ‘চাঁদপুর সেচ প্রকল্পে’র অভ্যন্তরে ৪০ একর জমিতে বোরো আবাদ করতে পারছেন না কৃষকেরা। ফলে জমিগুলো অনাবাদি পড়ে রয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে অনাবাদি জমিগুলোতে পানির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েও কোনো সুরাহা না পেয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগী কৃষক পরিবারের সদস্যরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন স্থানীয় কৃষক শহিদ রাজ, বিল্লাল হোসেন পাটোয়ারী, মাসুদ গাজী, আলমগীর গাজী, সেলিম গাজী, তাফু পাটওয়ারী, মোশাররফ পাটওয়ারী, রাজিব তপদার, হাসমত খন্দকার, হারুন খন্দকার, সবুজ রাজ, বিল্লাল, মান্নান তালুকদার, হান্নান শেখ, কাদির গাজীসহ অনেক কৃষকেরা।
সমাবেশে কৃষকরা অভিযোগ করেন, পানি সেচের স্কিম ম্যানেজার মোঃ ফজলুর রহমানের গাফিলতিতে কৃষকেরা জমিতে পানি পাচ্ছেন না। ধানের চারা এবং জমির ইজারা বাবদ তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণ সাখুয়া মাঠের স্কিম ম্যানেজার ফজলুর রহমান খান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ও এলজিইডি রাস্তা নির্মাণের কারণে কয়েকশ গজ ড্রেন মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলেছে। ড্রেনটি খনন করতে গেলে ঠিকাদার আমাকে বাধা দেন। তারা বলে কাজ চলমান অবস্থায় তাদের রাস্তা কাটা যাবে না। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ ও এলজিইডি অফিসে জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। ইতোমধ্যে আমি পানির টাকা জমা দিয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে বকেয়া বিল পরিশোধ করেছি।
ঠিকাদার রুবেল হোসেন বলেন, আমি স্কিম ম্যানেজারকে পাইপ দিয়ে পানি নিতে সহযোগিতার প্রস্তাব করলে তিনি রাজি হননি। তিনি চান রাস্তার ভেতর দিয়ে ঢালাওভাবে পানি নিতে। এতে রাস্তার কাজের ক্ষতি হবে তাই আমি তাকে নিষেধ করি।
ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাইরুল বাশার বলেন, আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি এবং কৃষকদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত আবেদনের পরামর্শ দিয়েছি।
বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেন বিল্লাল জানান, ঠিকাদার ও ইউপি সদস্যকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যেকোনোভাবে পানির ড্রেন সচল করা যায় সে ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য। সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম