প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ক্যান্সারে আক্রান্ত মেধাবী শিক্ষার্থী নুসরাতকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
মেধাবী শিক্ষার্থী নুসরাত জাহানের স্বপ্ন-পড়ালেখা শেষ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে। আর্থিক সচ্ছলতার মাধ্যমে পরিবারের পাশাপাশি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু মরণব্যাধি ক্যান্সার নুসরাতের সেই যাত্রা পথের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নুসরাত জাহানের পিতা চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্প্রসারণ উপ-পরিদর্শক মোঃ গিয়াস উদ্দিন এখন পর্যন্ত মেয়ের স্বপ্নের সারথী হয়ে এতদিন চিকিৎসা সেবা চালিয়ে গেলেও এ পর্যায়ে আর পারছেন না।
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার স্বনামধন্য বিদ্যাপিঠ রায়পুর সরকারি মার্চেন্টস্ একাডেমির ১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান (রোল-০২)। হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, নুসরাত ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত (ঝসধষষঈবষষ ঘবঁৎড়বহফড়পৎরহব ঈধহপবৎ -জরমযঃ খঁহমং)।
ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসারত থাকা অবস্থায় চিকিৎসকরা জানান, নুসরাতের চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই। তাকে বিদেশে তথা ভারত বা সিঙ্গাপুরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। যা ব্যয়বহুল।
নুসরাতের পিতা মোঃ গিয়াস উদ্দিন মেয়েকে বাঁচাতে হাউমাউ করে কেঁদে ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার ফরিদগঞ্জে সাংবাদিকদের বলেন, আমার বড় মেয়ে নুসরাত লেখাপড়ায় বেশ মনোযোগী ও মেধাবী। শিশু থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি ক্লাসে মেধানুসারে তার রোল ছিলো ১ থেকে ৩-এর মধ্যে। আমার মেয়ে বরাবরই বলতো সে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে দেশের মানুষের জন্যে কাজ করবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার ভূমিকা থাকবে। কিন্তু আমার সেই মেয়ে আজ মৃত্যুর প্রহর গুণছে। তাই নুসরাতের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও মানবিক মানুষগুলোর কাছে সহায়তা চেয়েছেন তার পিতা মোঃ গিয়াস উদ্দিন। নুসরাতকে বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাঁড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে আসুন।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : ১. মোঃ গিয়াস উদ্দিন, হিসাব নং-০১০০১২৫৯২৬৪৯০ জনতা ব্যাংক লিমিটেড, চাঁদপুর কো-অপারেটিভ শাখা, চাঁদপুর। ২. মোঃ গিয়াস উদ্দিন, পারসোনাল বিকাশ নং-০১৮১৬-০৪৪৮৯৮।