প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৩৭
হঠাৎ শীতের দাপট

অগ্রহায়ণের শেষ দিকে নদীবেষ্টিত চাঁদপুরে হঠাৎ জেঁকে বসেছে শীত। শীতের এমন দাপটে মানুষ কাবু হয়ে গেছে। বলতে গেলে অপ্রস্তুত অবস্থায় হঠাৎ তীব্র শীত হানা দিলো। পুরো জেলা জুড়ে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাড়ছে কুয়াশার দাপট।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই মেঘলা আকাশে কাঁপন ধরিয়েছে শীত। দু-এক দিনের মধ্যেই বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। ফলে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, যা চলতি মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ।
এবার শীত মওসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় চাঁদপুরজুড়ে শীত বাড়তে শুরু করেছে। ফলে বেশি শীত অনুভূত হওয়ায় সববয়সী মানুষকে মোটা কাপড় গায়ে জড়াতে হয়েছে। হঠাৎ শীতের এমন দাপট দেখে এখন জমজমাট গরম পোশাকের হকার দোকানসহ মার্কেটগুলো। শীত বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে শুরু করেছে শীতবস্ত্র ও ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতির দাম। বৃহস্পতিবার সারাদিন মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করায় হাড় কাঁপানো শীত পড়তে শুরু করে। এতে দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছে। বিশেষ করে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল এবং সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধে ছিন্নমূল মানুষ শীত যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করে। শীত মোকাবেলায় তাদের প্রস্তুতি ছিলো না। এসব এলাকার ছিন্নমূল মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের ব্যর্থ চেষ্টা করে। একটু উষ্ণতার আশায় তাদের প্রতীক্ষা করতে হয় সূর্য ওঠার মুহূর্ত পর্যন্ত। নদীবেষ্টিত চরগুলোতে শীতবস্ত্র এখনো পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে ঘন কুয়াশাও পড়া শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত ঘন কুয়াশার কারণে নৌ ও সড়ক পথে নৌযান এবং যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ্ মুহাম্মদ শোয়েব বলেন, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর ২০২৪) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ জেলা নদী উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা এবং হিমশীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা সকালে গণমাধ্যমে জানান, ১৬ ডিসেম্বর থেকে কুয়াশা আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ঘন কুয়াশা থাকবে অন্তত আরও এক সপ্তাহ। দু-একদিনের মধ্যেই বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। এ ক'দিন সূর্যের দেখা পেতে দুপুর হবে এবং বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।