সোমবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২৫  |   ৩০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চায় কমিটির একাংশ
পাপ্পু মাহমুদ ॥

কচুয়ার দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বারবার লিখিত আবেদন করেছে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের একাংশ।

জানা যায়, সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা, অস¦চ্ছতা ও স্বজনপ্রীতির আশঙ্কায় পরীক্ষা স্থগিত চান বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের একাংশ। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বিদ্যালয়টি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য দেখা যায়।

গত ৩ ডিসেম্বর ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য গাজী মাহবুব উল্লাহ, অভিভাবক সদস্য গাজী মোঃ আলমগীর হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য ফারজানা আক্তার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেন।

জানা যায়, গত ১৬ জুন দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় কচুয়া উপজেলার দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে ৬ জন প্রধান শিক্ষক পদে ও ১০ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করেন।

অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির একাংশের সাথে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই গোপনে নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করতে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর কচুয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

গোপনে এই নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার আশঙ্কায় ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য গাজী মাহবুব উল্লাহ, অভিভাবক সদস্য গাজী মোঃ আলমগীর হোসেন ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য ফারজানা আক্তার নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চান। পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজনের অনুরোধ জানান তারা।

নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে আবেদন করা বিদ্যোৎসাহী সদস্য গাজী মাহবুব উল্লাহ বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনৈতিক উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ রাখে। কিন্তু গত ২৮ ডিসেম্বর হঠাৎ করে বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও অভিভাবক সদস্যদের সাথে কোনো আলোচনা ছাড়াই ৬ ডিসেম্বর নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে। নিশ্চয়ই কোনো গোপন উদ্দেশ্য আছে বিধায় তারা সব কিছু আমাদের কাছ থেকে লুকিয়ে করেছে।

অভিভাবক সদস্য গাজী মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের সন্তানদের সঠিক শিক্ষা দেয়ার জন্যে এবং এই স্কুলটিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্যে একজন দক্ষ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক। তারা যেভাবে নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে, এর মাঝে শোনা যায় তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিবেন। আমরা এটা চাই না। আমরা স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষা চাই। যার মাঝে যোগ্য লোক প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন।

সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য ফারজানা আক্তার বলেন, আমরা চাই স্বচ্ছ একটি নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে একজন দক্ষ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হোক। আমরা কোনো অদক্ষ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ চাই না। বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক অস্বচ্ছতা আমরা দেখতে পাচ্ছি। তাই আমরা চাই এই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হোক। পরবর্তীতে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থীকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হোক।

অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুর সোবহান বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি চাই কমিটির নিজেদের ভেতরে যদি কোনো মতবিরোধ থাকে, তাহলে তারা সেটা সমাধান করে বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করুক।

আর বিদ্যালয় মেনেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবু বকর মজুমদার উজ্জল বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ রাখার বিষয়ে আমি কোনো লিখিত ডকুমেন্ট পাইনি। স্বচ্ছ একটি নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করার উদ্দেশ্যে আমি ইউএনও অফিসের একেবারে কাছের একটি স্কুলে এই নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করছি। সেখানে ইউএনও থাকবে।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, বিধি মোতাবেক অনিবার্য কারণবশত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হাসানকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেনে নি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়