সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

তরপুরচণ্ডীতে বখাটের হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচণ্ডী জিএম ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন খন্দকার বখাটের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ নিয়ে স্কুল শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।

বখাটে এই যুবকের নাম সুপ্ত মাতাব্বর। সে ওই এলাকার শাহজাহান মাতাব্বরের ছেলে। মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন স্কুল চলাকালে সুপ্ত মাতাব্বর তার বখাটে বাহিনী নিয়ে বিদ্যালয় মাঠে প্রবেশ করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঠে প্রবেশ করা বখাটেদের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অশালীন ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। তাদের চেঁচামেচি-চিৎকার দেখে প্রধান শিক্ষক ছুটে এসে বললেন, ‘তোমরা বাইরে যাও। এখানে ক্লাস চলে’ বলতেই প্রধান শিক্ষককে বখাটে সুপ্ত মাতাব্বর কিলঘুষি মারতে থাকে এবং ওই শিক্ষকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সে প্রধান শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন খন্দকার। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এরা কয়েকজন কিশোর গ্যাং ও বখাটে হিসেবে এলাকায় চিহ্নিত। তারা মাদকসেবন ও ইভটিজিং করে থাকে। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ বা মুখ খোলার সাহস পায় না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিষয়টি নিয়ে বসবেন। সেজন্যে আপাতত কোথাও অভিযোগ দিইনি।

তরপুরচণ্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজী জানান, বিষয়টি প্রধান শিক্ষক আমাকে জানাননি। আমি লোকমুখে শুনে প্রধান শিক্ষককে ফোন করে জেনেছি। সুপ্ত মাতাব্বর সত্যিকরের বখাটে ছেলে। এই বখাটেপনার জন্যে ইতোপূর্বে তিন-চারবার জেলও খেটেছে সে। আমার ছোট শিশুকন্যার অসুস্থতায় ব্যস্ত থাকায় আজ বুধবার বসার কথা থাকলেও বসতে পারিনি। রোববার এ নিয়ে বসবো। তারপরও প্রধান শিক্ষককে বলেছি, থানায় অভিযোগ করতে। তিনি কেনো অভিযোগ করছেন না তা জানি না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়