রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:২৫

হাজরা গ্রামে ডাকাতিয়ার ভাঙ্গন

হুমকির মুখে বসতবাড়ি ও মসজিদ

সোহাঈদ খান জিয়া
হুমকির মুখে বসতবাড়ি ও মসজিদ

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের হাজরা গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।

জানা যায়, হাজরা গ্রামটিতে বহু পূর্ব হতে ডাকাতিয়া ভাঙ্গছে। এই গ্রামের সামনে থেকে চরবাগাদী পাম্প হাউজ পর্যন্ত শাখা ডাকাতিয়া নদী খনন করা হয়।

খননের এক বছর না যেতেই মূল ডাকাতিয়া নদীর পাশাপাশি শাখা ডাকাতিয়া নদীতে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে করে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুর ১২টা হতে হাজরা গ্রামের শাখা ডাকাতিয়া নদীতে হঠাৎ ভাঙ্গন শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে প্রায় ৩০ ফুট জায়গা তলিয়ে যায়। তখন স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এছাড়া এ স্থানটি আগে থেকে ভেঙ্গে আসছে। ভাঙ্গন স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়। তারপরও ভাঙ্গন রোধ করা যাচ্ছে না। আবার মড়ার উপর খাড়ার ঘা হচ্ছে নদী খনন।শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাখা ডাকাতিয়া নদীতে প্রায় ৩০ ফুট জায়গা ভেঙ্গে নদীতে চলে গেছে। ভাঙ্গন স্থানটিতে রয়েছে অনেক গভীরতা। শাখা ডাকাতিয়া নদী খনন করার কারণে পূর্বের চেয়ে এখন ভাঙ্গন বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ভাঙ্গনের ফলে ফসলি জমিও ভেঙ্গে যাচ্ছে। গত তিনদিন যাবত নদীর ভাঙ্গন চলে আসছে। এতে প্রায় ১০০ শ' পরিবার ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে। পূর্বেও বহু ফসলি জমি ও বসতভিটা ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তখন ভাঙ্গন কবলিত পরিবারগুলো রাস্তার পাশে ও বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ এলাকার মানুষগুলোর বেশিরভাগই দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এভাবে ডাকাতিয়া নদীতে বসতভিটা বিলীন হয়ে গেলে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে না।

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো. বাচ্চু মিজি বলেন, পূর্ব হতে আমাদের গ্রামটি ডাকাতিয়া নদীর ভাঙ্গনের শিকার হয়ে আসছে। বহু পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে। গত বছর গ্রামের সামনে দিয়ে নদী ড্রেজিং করায় এখন আবার ভাঙ্গছে। ১শ' পরিবার ভাঙ্গন আতঙ্কে আছে। এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পথে বসতে হবে। ভাঙ্গন বন্ধে প্রশাসনসহ সকলকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

সাবেক ইউপি সদস্য মুনসুর খান বলেন, হাজরা গ্রামটি ডাকাতিয়ার ভাঙ্গনে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। আর অসহায় হয়ে পড়েছে ভাঙ্গন কবলিত পরিবারগুলো। এখন আবার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন বন্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংলিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসা জরুরি।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, নদীর পাড়ে বাড়িঘর থাকলে কিছুটা ভাঙ্গবে। তবে ভাঙ্গনরোধের বিষয়টি দেখবো।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়