মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে ব্যবসায়ী জুয়েলকে মামলায় আসামী করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

জুয়েল পাঠান নামক এক ব্যবসায়ীকে অন্যায়ভাবে মামলায় জড়িয়ে আসামী করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জুয়েল পাঠানের পক্ষে ফরিদগঞ্জের গাজিপুর আহম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ শহীদ আহম্মেদ ও জুয়েল পরিবারের সদস্যগণ।

শনিবার ২৬ আগস্ট দুপুরে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মামুনুর রশিদ পাঠানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গাজীপুর আহম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ শহীদ আহম্মেদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২২ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার গাজীপুর আহম্মদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের দ্বন্দ্ব হয়। দ্বন্দ্বের জেরে গাজীপুর গ্রামের ইদ্রিস পাঠান দুলালের ছেলে রায়হান ওরফে শাওন মাদ্রাসার দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী সাজেদুল হাসানকে বুকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে। বর্তমানে আহত সাজেদুল চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনী পদেক্ষেপ নিতে গত ২৩ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একমাত্র আসামী শাওনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত চিঠি প্রদান করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ গিয়াস উদ্দিন। এ ঘটনায় সাংবাদিকগণ সংবাদ সংগ্রহে ঘটনাস্থলে গেলে অনুসন্ধানে কেবল মাত্র শাওনের নামে অভিযোগ উঠে আসে এবং স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়। ইতিপূর্বে আহত সাজেদুলের ভাই রিয়াজ হাসান কর্তৃক ফরিদগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারে মোঃ জুয়েল পাঠান নামক অপর এক ব্যক্তিকে আসামী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। এতে এলাকার ক্রীড়ামোদী মানুষজনসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ আশাহত হয়েছে এবং ন্যায় বিচার প্রাপ্তির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, জুয়েল পাঠান একজন ইট, বালি ব্যবসায়ী। ঘটনার দিন জুয়েল পাঠান খেলার মাঠে উপস্থিত ছিলেন না। ওইদিন তিনি দর্শক সারি কিংবা বাজারেও উপস্থিত ছিলেন না। এ ঘটনাার সাথে জুয়েল পাঠানের ন্যূনতম সম্পর্ক ছিলো না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে ও সুনামহানিসহ হয়রানি করার উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে জুয়েল পাঠানের নাম মামলায় জড়ানো হয়েছে। মামলার সাক্ষীগণ জুয়েল পাঠানকে মামলায় জড়িয়ে আসামী করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবসায়ী মোঃ জুয়েল পাঠানকে এ মামলা হতে অব্যাহতি প্রদান করে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোঃ শহীদ আহম্মেদ ও জুয়েল পাঠানের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ জুয়েল পাঠানের পরিবারের সসদ্যগণসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়