প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
কচুয়া উপজেলার পালগিরি গ্রামে আব্দুল আজিজ ও আব্দুল আউয়াল গংয়ের মধ্যকার সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধে বিনষ্ট হচ্ছে সামাজিক পরিবেশ। আব্দুল আজিজ গোহট উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেনের পিতা। চেয়ারম্যান কবির হোসেন সাংবাদিকদের নিকট দাবি করেন, পালগিরি মৌজার ৮২৭নং দাগে ৭ শতক সম্পত্তি তার পিতা আব্দুল আজিজ পৈত্রিক সূত্রে মালিকদার। এ সম্পত্তি আব্দুল আউয়ালের বাড়ির উত্তর অংশে। উক্ত ৭ শতক সম্পত্তিতে মাওঃ আব্দুল আউয়াল জোরপূর্বক খড়ের গাদা স্থাপন করে ও লাকড়ি স্তূপ করে রেখে জোরদখল করে রেখেছে। গত সোমবার স্থানীয় মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ভূমি সার্ভেয়ারের মাধ্যমে মাপ-ঝোপ করে সীমানা নির্ধারণ করে আবদুল আজিজকে ৭ শতক সম্পত্তির সীমানা চিহ্নিত করার জন্য তারিখ নির্ধারণ করে। ইউপি মেম্বারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উক্ত কার্য সম্পাদনের জন্য সরেজমিনে গিয়ে সমবেত হলেও আব্দুল আউয়াল উপস্থিত হননি।
ইউপি মেম্বার মোশারফ হোসেন, সাবেক ইউপি মেম্বার মনির হোসেন, সেরাজুল হক মেম্বারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সাংবাদিকদের জানান, ৭ শতক সম্পত্তি ব্যাপারে পূর্বে আমরা কয়েকবার সালিশ বৈঠক করে চেয়ারম্যানের পিতা আব্দুল আজিজকে বুঝিয়ে দিই। কিন্তু সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছে না আব্দুল আউয়াল। এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেনের পিতা আব্দুল আজিজ ও আব্দুল আউয়ালের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে।
এ বিষয়ে আব্দুল আউয়ালের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কারো সম্পত্তি দখল করে রাখিনি। পালগিরি গ্রামের অধিবাসী সূর্য ভানুর ছেলে এমরানের কাছ থেকে খরিদসূত্রে আমি সম্পত্তির মালিকদার। এ নিয়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে মামলা চলমান।
এদিকে আব্দুল আজিজ ও আব্দুল আউয়ালের মধ্যকার সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধে এলাকার মাতাব্বররা দৃশ্যত দু ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এতে করে সামাজিক পরিবেশের ক্রম অবনতি ঘটছে।