মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

হাজীগঞ্জে বসতঘর ভাংচুর করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যাওয়ায় থানায় অভিযোগ!
হাজীগঞ্জ ব্যুরো ॥

হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচৈ চৌধুরী বাড়িতে বসতঘর ভাংচুর করে নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৮ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগটি দেন হাফেজ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী (৫৭)। তিনি ওই বাড়ির মৃত সেকান্দর চৌধুরীর ছেলে। এতে বিবাদী করা হয়েছে একই বাড়ির মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোঃ নূরুজ্জামানকে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় হাফেজ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরীর বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ নূরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হাফেজ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী বাড়িতে অনুপস্থিত থাকার সুযোগে ধারালো কুড়াল দিয়ে প্রতিবেশী মোঃ নূরুজ্জামান তার বসতঘর ও ঘরে থাকা শোকেস, ফ্রিজ, আসববাবপত্রসহ অন্যান্য মালামাল ভাংচুর করে এবং শোকেসে থাকা নগদ ১০ লাখ টাকা ও ৮ লাখ মূল্যের ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।

বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত বাড়িতে এসে তিনি জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দেন। খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ নূরুল আলমসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ দিকে ঘটনার সময় ওই বাড়ির মোঃ মিজানুর রহমান বিবাদী মোঃ নুরুজ্জামানকে ডাক দিলে তিনি তাকে হুমকি-ধমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ভাংচুরের বিষয়টি স্বীকার করে মুঠোফোনে মোঃ নূরুজ্জামান বলেন, আমাকে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ায় আমি তার ঘর ভেঙ্গেছি। এ সময় তিনি টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং প্রশ্ন রেখে বলেন, খালি ঘরে কি কেউ এতো টাকা ও স্বর্ণ রাখে? তিনি (হাফেজ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী) আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে আবারো আমাকে অপবাদ দিচ্ছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ বলেন, খবর পেয়ে আমি চৌধুরী বাড়িতে গিয়েছি এবং ওই সময় পুলিশ উপস্থিত ছিল। তখন শাহাদাৎ চৌধুরীর ঘর ভাংচুরের বিষয়টি সাক্ষীরা পুলিশকে জানিয়েছেন। তবে নূরুজ্জামান টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছে কিনা তা আমি জানিনা এবং কেউ দেখেছে কিনা তাও বলতে পারবো না।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নূরুল আলম জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়