প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
![নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শৌচাগার নির্মাণ](/assets/news_photos/2023/03/07/image-30401.jpg)
চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া তোলা বাজারে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে কতিপয় ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে সরকারি তোলা বাজারের মাঝ বরাবর পাকা শৌচাগার তৈরি করছেন। এতে নির্মাণাধীন শৌচাগারের চারপাশে থাকা দোকানদারগণ বাধা দেন। তখন নির্মাণকারীগণ তাদের উপর মারমুখো আচরণ করার চেষ্টা করলে দোকানদারগণ ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরে আসেন। শৌচাগার নির্মাণকারীগণের এমন কার্যকলাপে বাজার ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কিন্তু নির্মাণকারীগণ দাপুটে প্রকৃতির হওয়ায় কেউই প্রতিরোধ বা প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। ফলে বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান, মহাসীন গাজী, হাফেজ নাছির খান, মোঃ সেকান্দর খান, মোঃ আবুল ঢালী, খলিলুর রহমান খাঁ, মনির হোসেন খান, মোঃ কলন্ত খান, মোঃ দ্বীন ইসলাম দিনু ও সুবল শীল সমস্যার সমাধানের আশায় আইনের আশ্রয় নেন। তারা অবৈধস্থানে পাকা শৌচাগার নির্মাণ বন্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) চাঁদপুরের বরাবরে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেন। তাদের আবেদনের ভিত্তিতে এসিল্যান্ড অফিস থেকে শৌচাগার তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করলে তারা কিছুদিন কাজ বন্ধ রেখে গত দু’দিন পূর্বে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এতে নির্মাণাধীন শৌচাগারের পাশে থাকা ব্যবসায়ীদের মাঝে পুনরায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, তারা বিষয়টি পুনরায় দৃষ্টিগোচর করেন। এসিল্যান্ডের নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় শৌচাগার নির্মাণের সাহসিকতায় আশেপাশে থাকা মানুষজনসহ ব্যবসায়ীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা বলেন, নির্মাণকারীদের খুঁটির জোর কোথায়? নির্মাণ কাজের সাথে সাবেক সেলিম মেম্বার, আরিফ হোসেন খান, সুমন খান, সাকিব খান, হাফেজ খান, মোঃ ইব্রাহীম খান, শরীফ খান গং জড়িত আছে বলে জানা যায়। সরকারি তোলা বাজারের চারপাশে রয়েছে প্রবেশ মুখসহ ব্যবসায়ীদের ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এমনি গুরুত্বপূর্ণ স্থানের মাঝ বরাবর শৌচাগার তৈরি হলে ভাগাড়ে পরিণত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। ফলে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে, তোলা বাজারটি তার সৌন্দর্য হারাবে। হারাবে ব্যবসায়িক পরিবেশ। ফলে এখনই পাকা শৌচাগার বন্ধে প্রশাসন জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সুধীজনদের প্রত্যাশা।