আগামী ২৬ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে। কুমিল্লার গণসমাবেশকে ঘিরে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। গণসমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে এবং নেতা-কর্মীদের সমাবেশে নিতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে চলছে আলোচনা ও মিটিং। বিভিন্ন বাজার ও মিনি মার্কেটগুলোতে চলছে লিফলেট বিতরণ ও আলোচনা।

গত কদিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে খবর নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লার গণসমাবেশে ফরিদগঞ্জ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক লোক সমাগম করতে গত ১৩ নভেম্বর উপজেলা বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ্ব এমএ হান্নানের উদ্যোগে শোল্লা আশেক আলী স্কুল এন্ড কলেজের হলরুমে পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিদিন বিভিন্ন ইউনিয়নে আলোচনা সভা হচ্ছে। গত ১৫ নভেম্বর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র জয়েন্ট সেক্রেটারি আবু জাফর খসরু মোল্লার নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে শোল্লা বাজারে লিফলেট বিতরণ করা হয়। ১৯ নভেম্বর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কাঞ্চন মুন্সির নেতৃত্বে ১নং বালিথুবায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি শরীফ মোঃ ইউনুছ, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান দুলাল, বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র মঞ্জিল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে প্রতিদিনই বিভিন্ন ইউনিয়নে আলোচনা সভা এবং লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ্ব এমএ হান্নান বলেন, কুমিল্লার গণসমাবেশ কোনো আনন্দের জন্যে নয়, এটা দাবি আদায়ের জন্যে একটি সমাবেশ। বিএনপির চেয়ারপারসন, দেশনেত্রী, আমাদের নিরাপরাধ মায়ের মুক্তি, আমাদের ভাই আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের মুক্তি এবং দেশে লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও বিভিন্ন জেলায় গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী আমাদের ভাইদের উপর পুলিশের নির্বিচারে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার এই গণসমাবেশ। এ গণসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ফরিদগঞ্জের দায়িত্বে আমি আলহাজ্ব এমএ হান্নান। ইনশাআল্লাহ কুমিল্লার গণসমাবেশে আমার ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত থাকবে।