সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

হকারি পেশা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি
মিজানুর রহমান ॥

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস, স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখায় চাঁদপুরে পত্রিকা বিক্রি কমে দুই-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। আবার কোনো কোনো গ্রাহক পত্রিকার মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর ভয়ে বাসা-বাড়িতে পত্রিকা নেয়া বন্ধ করে দেন। এতে এ ব্যবসার সাথে জড়িত হকারদের অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছেন। আবার কেউ কেউ পত্রিকা বিক্রি ছেড়ে অন্যান্য পেশার সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। একান্ত আলাপচারিতায় এমন কথাই জানালেন চাঁদপুর কোর্ট স্টেশনস্থ নুরুন্নবী পাটোয়ারীর নিউজ পেপার এজেন্সির পত্রিকা বিলিকারক রণজিৎ সাহা।

তিনি জানান, ৫০ বছর যাবৎ আছেন এই পেশায়। প্রথমে আসলাম খান এজেন্সিতে চাকরি করতেন এবং পত্রিকা নিজে বিলি করতেন। এরপর নুরুন্নবী পাটোয়ারীর অধীনে কাজ করেন। নুরুন্নবী মারা যাওয়ায় এখন জসিম মেহেদী ও শুভ প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। তাদের অধীনে পত্রিকা বিক্রির কাজ করছেন। থানা, প্রফেসর পাড়া ও কলেজ এলাকায় পত্রিকা দিচ্ছেন তিনি। স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে থাকেন চাঁদপুর শহরের আদালত পাড়ায়।

রণজিৎ সাহা জানান, আগে ভালোই ছিলেন। প্রতিদিন সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ পত্রিকা বিক্রি করে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করতেন। করোনায় ডিস্টার্ব করেছে। তাই এখন পত্রিকা চলে আড়াইশ’ থেকে ৩০০। প্রতিদিন পত্রিকা বিক্রি করে যে টাকা পান তা দিয়ে কোনোরকম দিন চলে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ছেলেরা থাকায় সংসারে সহযোগিতা করছে। পুরানো পেশা ছাড়তে মায়া লাগে।

রণজিৎ সাহা জানান, করোনা ও ইন্টারনেটের কারণে পত্রিকা বিক্রিতে ধস নেমেছে। তার ভাষায়, করোনা ও মোবাইল ফেইসবুকে পত্রিকারে খাইয়া লাইছে। এরকম দিন গেলে পরিবার নিয়ে আমাদের চরম সংকটের মধ্যে পড়তে হবে। এই পেশা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। এতো সংকটের মধ্যেও সরকারি কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়