প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
হাজীগঞ্জে প্রতিবেশী সংখ্যালঘু এক পরিবারের সম্পত্তি জোর করে দখলে নিতে সীমানা প্রাচীর ভাংচুর ও হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বেলঘর গ্রামের ঠাকুর বাড়িতে।
থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঐ বাড়ির লক্ষ্মণ চক্রবর্তীর পৈত্রিক সম্পত্তি প্রতিবেশী জোহর আলীর ছেলে আঃ মালেক পরিকল্পিতভাবে দখলে নিতে সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে। এতে লক্ষ্মণের পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায় মালেক গং। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। এরপর ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সদস্যসহ ক’জনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ভাংচুর ও হামলা চেষ্টার সত্যতা নিশ্চিত হন। গত বছরও অভিযুক্তরা এই সংখ্যালঘু পরিবারের সম্পত্তি দখল করতে হামলা চালায়। ঐ ঘটনা থানা পর্যন্ত গড়ায়।
ভাংচুরের ঘটনায় ২ জনকে আসামী করে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য সাবিত্রী চক্রবর্তী বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আসামীরা হচ্ছেন আঃ মালেক ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগম।
সাবিত্রী চক্রবর্তী জানান, আমাদের সম্পত্তি মালেক গং বারবার দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তাদের বাধা দিতে গেলে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। মঙ্গলবারের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
সম্পত্তি দখল, হামলার চেষ্টা ও ভাংচুরের বিষয় অস্বীকার আঃ মালেক বলেন, আমি সীমানা প্রাচীরের পাশ থেকে মাটি আনতে গেলে ওরা আমাদেরকে মারধর করতে আসে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তফা মজুমদার বলেন, সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন আমাকে জানানোর পর ইউপি সদস্যসহ ক’জনকে পাঠিয়েছি। এটি সমাধানের জন্যে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসা হবে।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোপীনাথ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জোবাইর সৈয়দ জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।