প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
মতলব পৌর এলাকার বরদিয়া আড়ংবাজার সংলগ্ন মতলব-বাবুরহাট-পেন্নাই সড়কের পাশে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের পরও পুনরায় সেটি উত্তোলন করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছে। ওই এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ বিল্লাল হোসেন ভাড়ায় চালিয়ে আসছে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুশরাত শারমিন এখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।
মতলব পৌর ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, মতলব পৌর এলাকার মোবারকদী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ বিল্লাল হোসেন ১৮০নং মোবারকদী মৌজার ৩৪০ দাগে খাল শ্রেণির ১নং খতিয়ানে সরকারি জায়গার উপর খালের পাশে ২০১৮ সালের শেষের দিকে পাকা ও আধাপাকা দোকানঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বিষয়টি স্থানীয় সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে মতলব পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ হাবিব উল্লাহ পাটোয়ারী ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করলেও বিল্লাল হোসেন জোরপূর্বক রাতের অন্ধকারে টিনশেডে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করেন। তার এই দোকান নির্মাণের বিষয়টি ২০১৯ সালের ১২ জুন দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে এবং পরবর্তীতে আরো ক’বার সংবাদরূপে প্রকাশিত হয়। এমতাবস্থায় অবৈধ দোকান নিজ খরচে অপসারণ করার জন্যে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে দুই দফা চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু বিল্লাল সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ব্যবসা চালিয়ে রাখেন।
এদিকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করার অনুমতি চেয়ে উপজেলা প্রশাসন জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দেয়। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে উপজেলা প্রশাসন ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। ওই সময় মতলব পৌর ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা হাবিব উল্লাহ পাটোয়ারী, অফিস সহকারী মোঃ সায়েদ আলীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মতলব পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান খান বলেন, আমি অফিসের বাইরে আছি। বিষয়টি জানি না।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেটু কুমার বড়ুয়া জানান, সরকারি জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উচ্ছেদ ও পরবর্তীতে আবারও দোকানঘর স্থাপনের বিষয়টি আমি অবগত নই। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।