প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২২, ০০:০০
হাজীগঞ্জে স্বামীর স্বীকৃতি পেতে এক শিক্ষার্থী শুক্রবার দুপুর থেকে স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করেন। অনশনের আগে আত্মহত্যারও চেষ্টা চালান ওই শিক্ষার্থী। সোমবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার কয়েকজন মিলে বৈঠকে বসলে বিষয়টি ৪ লাখ টাকায় দফারফা হয়। এতে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অনশন করা ওই শিক্ষার্থীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী তার বাবার বাড়িতে আছেন বলে জানা যায়।
জানা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের তাহের চৌধুরীর মেঝো ছেলে মোঃ রাকিব চৌধুরী একই ইউনিয়নের হোটনী গ্রামের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমাকে বিয়ে করেন। নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে বিয়েটি সম্পন্ন হয়। বিয়েতে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা কাবিন করা হয়।
ফাতেমা দেশগাঁও ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। সে হাজীগঞ্জ উপজেলার হোটনী গ্রামের মৃত আব্দুস্ সাত্তারের মেয়ে।
রাকিব চৌধুরী একই কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র। সে দেশগাঁও জয়নাল আবেদিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক তাহের চৌধুরীর ছেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, ছেলের পক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে অনশনের নাটক সাজানো হয়েছে। এতে এলাকার কয়েকজন জড়িত।
ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে সালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়েছে। ছেলের পক্ষ মেয়েকে ৪ লাখ টাকা দিয়েছে।
সালিসে উপস্থিত থাকা দেশগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন জানান, মেয়ের পক্ষকে ৪লাখ টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে এবং সালিসের রায়ের একটি স্ট্যাম্প করা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোবাইর সৈয়দ জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।