সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষকের অমানবিক বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থী  হাসপাতালে ভর্তি
অনলাইন ডেস্ক

ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসা শিক্ষকের অমানবিক বেত্রাঘাতে আরমান হোসেন নামে ৯ বছর বয়সী এক শিশু ছাত্র গুরুতর আহত হয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ১ জুলাই ওই উপজেলার ধানুয়া গ্রামের সেকান্দর খান বাড়ি আশরাফুল উলুম মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। বেত্রাঘাত করা ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল মালেকের চাপে শিশুটি তার পরিবারকে কিছু না জানালেও ঘটনার তিনদিন পর সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় অভিভাবকরা ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।

আহত শিশু আরমান হোসেন জানান, আমি ঠিকমত পড়া না পারার কারণে এবং ফজর নামাজের সময় ঘুম থেকে দেরি করে ওঠার কারণে মালেক হুজুর আমাকে স্কচটেপ পেঁচানো বাঁশের বেত দিয়ে অনেক মারধর করেছেন।

শিশু আরমানের পিতা আবুল খায়ের জানান, গত ১৫-২০ দিন পূর্বে তিনি তার শিশু পুত্রকে ধানুয়া গ্রামের আশরাফুল উলুম মাদ্রাসায় নূরানী শাখায় ভর্তি দেন। গত ৩ জুলাই তার ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে তিনি ওই মাদ্রাসায় গিয়ে জানতে পারেন মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক তার ছেলেকে অমানবিকভাবে বেত্রাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেছেন। বেত্রাঘাতে শিশু আরমানের পিঠে প্রত্যেকটি বেতের আঘাতের স্থানে রক্ত জমাট বেঁধে আছে।

তিনি জানান, তার শিশু ছেলের প্রতি এমন অমানবিক নির্যাতনের কথা জিজ্ঞেস করলে ওই সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক উল্টো তাকে বিভিন্ন হুমকি স্বরূপ কথাবার্তা বলেন। পরে তিনি ঐ শিক্ষকের সাথে কোনো কথা না বাড়িয়ে তার ছেলেকে চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। এমন অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় শিক্ষক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পিতা।

এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল মালেক মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা জাহিদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, যখন ঘটনাটি ঘটেছে আমি এই বিষয়টি অবগত ছিলাম না। কিন্তু যেদিন শিশুটির অভিভাবকরা তাকে মাদ্রাসা থেকে নিতে এসেছেন তখন ওই হুজুরের সাথে বাকবিতণ্ডা হওয়ার কারণে আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়