প্রকাশ : ১১ জুন ২০২২, ০০:০০
কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া মসজিদ বাড়িতে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল করে বসত বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সরজমিনে গেলে জানা যায়, মনোহরপুর গ্রামের কাদিম আলীর মেয়ে মোস্তফা বেগমের দেড় শতাংশ সম্পত্তিতে একই বাড়ির মরহুম ইউসুফ আলীর ছেলে ইমান হোসেন, মনির হোসেন, আমির ও জাকির হোসেন জোরপূর্বক বসতঘর, রান্নাঘর ও টয়লেট নির্মাণ করেন। এ নিয়ে মোস্তফা বেগম তাদেরকে ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করেন। কিন্তু তারা নিষেধকে অমান্য করে কাজ চালিয়ে যান। এমনকি মোস্তফা বেগম ও তার আত্মীয়-স্বজনদের হত্যা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেন। কোনো প্রকার উপায়ন্তর না পেয়ে সম্পত্তি রক্ষার্থে মোস্তফা বেগম কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে কচুয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) মামুন সরকার উভয় পক্ষকে মীমাংসার লক্ষ্যে থানায় ডাকেন এবং সালিসি বৈঠকে বসেন। এ বৈঠকে উভয় পক্ষের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ইমান হোসেন গং ৩১ মে ২০২২ তারিখের মধ্যে তাদের ঘর ও স্থাপনা সরিয়ে মোস্তফা বেগমের জমি ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। কিন্তু সময় শেষ হওয়ার পরও ইমান গং স্থাপনা অন্যত্র না নেয়ার ফলে ভুক্তভোগী পরিবার চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ বিষয়ে ইমান হোসেন বলেন, আমি আমার সম্পত্তিতে থাকার জন্যে বসত বাড়ি নির্মাণ করি। মোস্তফা বেগম এই বাড়ির মেয়ে। তিনি তার হিস্যায় ০.২৫ শতাংশ জায়গা পাবেন। আমি তাদেরকে সেই জায়গার পরিবর্তে টাকা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জায়গা ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মোস্তফা বেগম বলেন, আমরা কাদিম আলীর ৬ ওয়ারিশ ১৪ শতকের অন্দরে ১.৫ শতকের মালিক হই। আমি আমার অন্যান্য ভাই-বোন থেকে দেড় শতাংশ সম্পত্তি এওয়াজ বদল করি। কিন্তু আমার সম্পত্তি ইমান হোসেন গং জোরপূর্বক দখল করে। আমি এ বিষয়ে কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের প্রেক্ষাপটে তাদেরকে ৬ মাসের সময় দেয়া হয় স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্যে। কিন্তু এখনো তারা এই সম্পত্তি দখল করে আছে এবং আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি প্রদর্শন করছে। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।