রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১০ জুন ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে টিকা কেন্দ্রে এমএইচভি পদের সম্মানি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ
শামীম হাসান ॥

ফরিদগঞ্জের প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে ৩ জন করে এমএইচভি (স্বেচ্ছাসেবক) সারাদেশের ন্যায় প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়ে কাজ করলেও বর্তমানে বুস্টার ডোজ নিয়ে সে সকল স্বেচ্ছাসেবক কাজ না করার কারণে বিভিন্ন টিকা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় বাজে অবস্থা। গত ৪ জুন রোববার দেশব্যাপী কোভিড ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ সপ্তাহ উদ্‌যাপন শুরু হয়। টিকা কার্ড স্ক্যান না করে টিকা গ্রহণকারীদের দিয়ে দেয়া হয়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাহাপুর ও উপাধীক কমিউনিটি ক্লিনিকে টিকার কার্ড স্ক্যানিং ছাড়াই দেয়া হচ্ছে টিকা। দায়িত্বরত কর্মকর্তা জান্নাত আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, স্ক্যানিং করা হয়েছে, ওনি এইমাত্র বের হয়ে গেছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রথম ডোজ ও দ্বিতীয় ডোজ দেশব্যাপী যখন টিকা দেয়া হয় সে সময় সাহাপুর কেন্দ্রে আনোয়ার হোসেন রাজু, সাফায়েত, মাসুম তিনজনই এমএইচভি পদে দায়িত্বে ছিলেন। তারা নির্দিষ্ট সম্মানী না পেয়ে গত ৫ জুন কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ করতে যাননি। আনোয়ার হোসেন রাজু জানান, গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাসে ১৬ দিন কাজ করেছি, আমার সাথে আরো ২ জন অল্প ক’দিন কাজ করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আমাদের তিন জনের নামে ১৭ হাজার টাকা উঠিয়ে শুধুমাত্র আমাকে ৩ হাজার টাকা দেয়। মাসুমকে ১ হাজার দেয়ার কারণে মাসুম টাকা নেয়নি, বাকি টাকা কী করলো আমরা জানি না।

সরজমিনে ও বিভিন্ন সূত্রমতে, উপাধীক কমিউনিটি ক্লিনিকে সম্মানী প্রদানে একই চিত্র দেখা যায়। আছমা আক্তার নামে আরেকজন এমএইচভিকে ৮ দিনে ১৬শ’ টাকা দেয়া হয়। সাহাপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জান্নাত আক্তার জানান, আমি রাজুকে ৩ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা বিভিন্ন খাতে খরচ হয়ে গেছে। তাদের প্রাপ্য তাদের বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারে কোনো উত্তর দিতে পারেননি। এমনকি তিনি বলেন, শুধু বাজেট আপনারা জানেন, অফিস থেকে আমাদের কত টাকা দিছে তা খোঁজ নেন। এমএইচভি (স্বেচ্ছাসেবক)দের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মামুন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, কোনো স্বেচ্ছাসেবক আমাকে কোনো অভিযোগ করেনি। তাদের টাকা কম হলে আমাকে জানাতো। আমরা সমাধান করে দিতাম। তাদের দৈনিক কত টাকা দেয়া হয়েছে, ১৬ দিনে একজন স্বেচ্ছাসেবক কত টাকা পাবে, এমন কি একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩ জন স্বেচ্ছাসেবক কে ১৭ হাজার টাকার মধ্যে কত টাকা দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অফিসের নিয়ম অনুযায়ী দেয়া হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারবো না। যে সকল স্বেচ্ছাসেবক টাকা পাননি বা বিদেশ চলে গেছে তাদের ভাতার টাকার ব্যাপারে কিছু বলতে তিনি রাজি নন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়