প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২২, ০০:০০
হাইমচর উপজেলার ২নং আলগী দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মহজমপুর গ্রামে সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুর রহমান মিয়াজীর এতিমখানা সংলগ্ন আকবর আলী খান কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের সাইনবোর্ড স্থাপনের সময় তা ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৭ ফেব্রুয়ারি রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় হামলার শিকার দাবি করে আকবর আলী খান কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ হারুনুর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় মরহুম জাহাবক্স আখন্দের ছেলে মিজান আখন্দ (৫৫) এখানে কলেজ করতে হলে ৫ লাখ টাকা তাকে চাঁদা দিতে হবে বলে দাবি করেন। তাকে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মিজান আখন্দ আরো অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে সাথে নিয়ে এসে ওয়াহিদুর রহমান বাচ্চু আখন্দ (৬৫)’র নির্দেশে কলেজের স্থাপনকৃত সাইনবোর্ডে ভাংচুর চালায়। এ সময় আমাকে মারধর করে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করলে আমার চিৎকারে আব্দুল কাদির গাজী (৩৮) এগিয়ে আসে। তখন সেও হামলায় আহত হয়।
আহত কাদির গাজী বলেন, আমি কলেজ কর্তৃপক্ষ মোঃ হারুনুর রশীদের তার ডাক-চিৎকার শুনে বাঁচাতে গেলে ওরা আমার চোখে-মুখে আঘাত করে আমাকে মারাত্মক আহত করে। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে আমার অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্যে চিকিৎসকগণ দ্রুত রেফার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। এখন আমি সদর হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছি। এ বিষয়ে হাইমচর থানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
আহত কাদির গাজী সাংবাদিকদের আরও বলেন, এই আকবর আলী খান কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজের প্রধান কার্যালয়টি কুমিল্লার গৌরিপুরে অবস্থিত। এটির চাঁদপুর শাখা হচ্ছে হাইমচর মহজমপুর গ্রামে। তাই কলেজটির নিজ নামে ৩৩ শতাংশ জমি খরিদ ও সাবকবলা করা হয়। আর এই জমিতেই কলেজে নাম সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করতে গেলে ওরা এই অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটায়।
এ বিষয়ে মিজান আখন্দকে তাৎক্ষণিক পাওয়া না যাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তবে ঘটনা প্রসঙ্গে হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব মোল্লা জানান, আমরা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।