মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২১, ০০:০০

গরু খামারিদের মাথায় হাত
এমরান হোসেন লিটন ॥

ফরিদগঞ্জে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মুনাফা লাভের আশা দেখলেও লকডাউনের কারণে মাথায় হাত পড়েছে গরু খামারিদের। ঈদের দিন যতোই এগিয়ে আসছে ততোই শঙ্কা ঘিরে ধরছে খামারিদের। করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরও ব্যবসা করতে পারেননি স্থানীয় গরু খামারি ও ব্যবসায়ীরা। এবারও যদি একই অবস্থা হয় তাহলে পথে নামা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না বলে মনে করেন অনেক খামারি।

এদিকে, গত বছরের মতো এ বছরও বিভিন্ন এলাকা প্রবাসী শূন্য। প্রতি বছর কোরবানির ঈদ আসলে এলাকার অনেক প্রবাসী পরিবার নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটে আসতেন দেশে। কিন্তু গত বছর এবং এ বছর করোনা সংক্রমণের কারণে প্রবাসীরা কোরবানির ঈদে দেশে আসতে নারাজ।

এলাকার ক'জন খামারির সাথে আলাপকালে জানা গেছে, কোরবানির ঈদকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো এবারও গরু প্রস্তুত করেছেন তারা। বিক্রির জন্যে অনেক স্থানে এরই মধ্যে কোরবানির হাট বসতে শুরু করেছে। তবে গত বছরের মতো এবারও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাস। বিশেষ করে এবার করোনার ভয়াবহ ডেল্টা ধরণ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় লকডাউন দিয়েছে সরকার। এতে শেষ পর্যন্ত কোরবানির পশুবিক্রির অবস্থা কী দাঁড়ায় তা নিয়ে খামারিদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। সঠিক মূল্য না পাওয়া এবং ক্রেতা না থাকায় কোরবানির গরু বিক্রি নিয়ে আশঙ্কায় আছেন খামারিরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ছোট-বড় মিলে প্রায় দুশ খামারি আছেন, যারা প্রতি বছর গরু পালন করে কোরবানির সময় বিক্রয় করে থাকেন। কিন্তু এ বছর মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের কাজ না থাকায় তাদের হাতে অর্থ নেই। তাই গরু কোরবানির জন্য ক্রেতাদের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। ফলে হতাশার মধ্যে দিনযাপন করছেন খামারিরা।

বিশিষ্ট সার্জারি চিকিৎসক ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় আজাদ এন্ড সোহেল এগ্রো ফার্মের তত্ত্বাবধায়ক মোঃ সোহেল বলেন, তাদের খামারে মোট ৪০টি ষাঁড় গরু আছে, সবক’টিই বিক্রি করার মতো এবং তাদের খামারে ৯০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত গরু আছে বলে তিনি জানান। কিন্তু লকডাউনের কারণে গরু বেচা-বিক্রি নিয়ে খুব চিন্তিত আছেন। খামার থেকে গরু নিতে চাইলে ০১৭১৪৬২১৬৮৮ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলেন এবং পরিবহনের সুব্যবস্থা আছে বলে তিনি জানান।

ফরিদগঞ্জের পাটোয়ারী বাজারের মায়ের দোয়া হালিমা ডেইরি ফার্মের পরিচালক সেন্টু বলেন, আমার খামারে ৫৭টি গরু আছে, যা কোরবানি ঈদে বিক্রি করবো বলে রেখেছি। সামনে ঈদ, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ক্রেতা পাচ্ছি না। তার খামারে ৯০ হাজার থেকে ৬ লাখ টাকা মূল্যের পর্যন্ত গরু আছে বলে তিনি জানান এবং বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে তার খামার থেকে গরু পরিবহনের সুব্যবস্থা আছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে এবার গরু বিক্রি করতে পারবো কি না সেটা নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি এবং খামার থেকে গরু নিতে চাইলে ০১৭৪৮৩৭৯৫৫৭ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলেন।

ফরিদগঞ্জের ছোট-বড় অসংখ্য খামারির কথা, গরু বিক্রির দিক চিন্তা করে মাননীয় সরকার প্রধান ঈদের আগে লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল করলে খামারিদের উপকার হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়