রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

দাম বেড়েছে চাল-ডাল-ডিমের
স্টাফ রিপোর্টার ॥

বছরের প্রথম সপ্তাহে বাজারে চাল, ডাল ও ডিমের দাম বেড়েছে। কমেছে মুরগির দাম। এছাড়াও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার ৭ জানুয়ারি সকালে চাঁদপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে সবজির দাম আগের মতই আছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, ফুল কপি প্রতি পিচ ৪০ টাকা, পাতা কপি ৪০ টাকা, করল্লা ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিচ ৪০ টাকা, প্রতি পিচ লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০টাকা, মুলা ৩০-৪০ ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।

এসব বাজারে পুরান আলুর কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা। দাম কমে নতুন আলু কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। গত সপ্তাহের দামে পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে রসুন। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। দেশি রসুন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। দেশি আদার কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, হলুদের কেজি ১৬০ থেকে ২২০ টাকা। বেড়েছে মুসুরির ডালের দাম। দেশী ডালের কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি। বেড়েছে ইন্ডিয়ান ডালের দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা কেজি। এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা।

ক্রেতা সাধারণ বলেন, শীতে মুরগির দাম বাজারে কম থাকার কথা। প্রতি বছরই শীতে ফার্মের মুরগির দাম কম থাকে, কিন্তু এবার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে দাম। বাজারে বেড়েছে চালের দাম। এসব বাজারে নাজিরশাইল চালে কেজিতে বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা। নাজিরশাইল চাল কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চাল প্রতি কেজিতে ১ থেকে ২টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৩ থেকে ৬৪ টাকা, আটাশ চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা। আটাশ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫১ থেকে ৫২ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও আটাশ চালের কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৯-৫০ টাকায়।

ক্রেতারা বলেন, হঠাৎ করেই বেড়েছে বাজারে চালের দাম। পাইকাররা বলছে বাজারে ধানের সংকট ও ধানের দাম বাড়তে থাকায় চালের দাম বেড়েছে। মাছের বাজারও অস্থিতিশীল। গুঁড়া চিংড়ির কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। রুই কাতলসহ অন্যান্য দেশি ও চাষের মাছের দামও অনেক বেশি। জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে। সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো মনিটরিং হচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ বাজার করতে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে হতাশা ব্যক্ত করছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়