শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

কচুয়ায় জুয়াড়ি ও মাদকসেবীদের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
কচুয়া ব্যুরো ॥

জুয়াড়ি ও মাদকসেবীদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে কচুয়া উপজেলার নূরপুর, সাতবাড়িয়া ও বলরাসহ বিভিন্ন গ্রামের অধিবাসীরা। পুলিশ ইতিমধ্যে বেশকিছু জুয়াড়ি ও মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করলেও আইনের ফাঁক-ফোকরে মাদক ব্যবসায়ীরা ছাড় পেয়ে এলাকায় এসে ফের জুয়া ও মাদক ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ীরা ভাসমান অবস্থায়ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে।

সরজমিনে গেলে কথা হয় স্থানীয়দের সাথে। তারা জানায়, উপজেলার নূরপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া কুমার বাড়ির জহিরুল ইসলামের চা দোকানে মাদক সেবনসহ জুয়া খেলা চলে রাতভর। তাদের নেটওয়ার্ক এতই শক্তিশালী যে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে অনেকে হয়েছে অপমানিত ও লাঞ্ছিত। ভয়ে এখন আর কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। তার নিজ চা দোকান ছাড়াও তার বাড়ির পুকুরের পূর্ব পাড়ে একটি টিনশেড ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা কাজে ওই ঘরটিও ব্যবহার করছে। জহিরুল ইসলামকে এ সমাজ বিরোধী কাজ থেকে সরে যাওয়ার জন্যে বলে আসলেও সে কারো কথায় কর্ণপাত করছে না। উল্টো জহিরুল ইসলাম তার জুয়া খেলা ও মাদকের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বীরদর্পে।

এছাড়াও নূরপুর গ্রামের পূর্বপাড়া ওমর ফারুকের চা দোকান মাদকসেবীদের বড় আস্তানা হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত। এ চায়ের দোকানটিতে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক সেবন চলে। বিকেল হলে শুরু হয় মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। সাতবাড়িয়া গ্রামের করিম মেম্বার বাড়ির মসজিদ সংলগ্ন গড়ে উঠা বিভিন্ন দোকান-পাট এলাকা ঘিরে মাদকের রমরমা ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে। তারা আরো জানায়, মাদক সেবন ও জুয়া খেলার কারণে এ গ্রামে অহরহ সিঁদেল চুরিসহ মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে আসছে। এসব চুরির ঘটনায় জুয়াড়ি ও মাদকসেবীরা জড়িত।

অপরদিকে মাদকের আস্তানা নামে খ্যাত বলরা গ্রামে আগের মতো চিহ্নিত কোনো বাড়িতে মাদক ব্যবসা না চালিয়ে ভাসমান অবস্থায় এ গ্রামের মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। জুয়া ও মাদক সেবনকে ঘিরে কচুয়া উপজেলা ছাড়াও পার্শ^বর্তী বরুড়া উপজেলার মাদকসেবীদের দেখা যায় ওই এলাকাগুলোতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ব্যক্তি জানান, জুয়াড়ি ও মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে উঠতি বয়সের যুবকরা জুয়া ও মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়বে। এতে করে এলাকার পরিবেশ দারুণভাবে বিনষ্ট হয়ে পড়বে। এসব জুয়াড়ি, মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের দমনে পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকাবাসী।

কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন জানান, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা আপসহীন। কোন স্থানে জুয়া ও মাদক ব্যবসা চলছে এমন নিশ্চিত তথ্য পেলে অবশ্যই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়