প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২১, ০০:০০
লকডাউনে অবৈধ ড্রেজারে বালি উত্তোলনের হিড়িক
ফরিদগঞ্জে লকডাউনের সুযোগে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনের হিড়িক পড়েছে। এর মধ্যে ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে ৩টি স্থানে, গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের তিনটি স্থানে এবং চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের আলোনিয়া গুদারাঘাট এলাকায় ১টিসহ ৭টি ড্রেজার চলার সংবাদ পাওয়া গেছে।
|আরো খবর
জানা গেছে, সরকারি অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন নিষিদ্ধ। অন্যদিকে ফসল উৎপাদন ঠিক রাখতে আবাদী জমি ভরাটের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা কেউ মানছে না। ইতিমধ্যেই উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার বিনষ্ট করলেও চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের সুযোগে আবারো একশ্রেণির লোক বালি উত্তোলন শুরু করেছে।
উপজেলার ১৪ নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে ২টি স্থানে ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমি থেকে বালি উত্তোলন করে ফসলি জমি ভরাট করছে। কালিবাজার-মদিনাবাজার সড়কে মধ্যহর্ণি এলাকার জনৈক মাহফুজ পাটওয়ারী ও জসিম উদ্দিন অবৈধভাবে ফসলি জমি ভরাট করছে। একই ইউনিয়নের তালতলা পশ্চিম রোডে কালাম মাস্টার বাড়ির কালভার্ট সংলগ্ন স্থানে জনৈক ইউছুফ হোসেন ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করছেন।
১০নং গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে হাঁসা ফতেহ আলী পাটোওয়ারী বাড়ি সংলগ্ন স্থানে ও হাঁসা মাদ্রাসার সাথে আব্দুল মান্নান ও লতিফ বেপারীর ২টি অবৈধ ড্রেজার চলছে গত তিন মাস ধরে। প্রশাসন ইতিপূর্বে ড্রেজারের পাইপ ভেঙ্গে দিয়ে আসলেও কিছুদিন পর থেকে আবারো ড্রেজারগুলো চলছে। একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে প্রয়াত রুহুল আমিন মেম্বারের বাড়ির পাশেও চলছে অবৈধ ড্রেজিং।
১১নং চরদুখিঃয়া পূর্ব ইউনয়িনের আলোনিয়া গুদারাঘাট জনৈক জাকির হোসেনের ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করছেন। স্থানীয় লোকজন জানান, জাকির হোসেন এভাবে ওই এলাকায় নিয়মিত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু ভরাট করে চলছেন।
স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রশাসন লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যস্ত থাকার সুযোগে সরকার দলীয় কিছু প্রভাবশালী নেতার মদদে লকডাউনের সুযোগ নিয়ে অবৈধ ড্রেজিং চলছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসন থেকে লোক পাঠিয়ে বন্ধ করতে বললে ২দিন বন্ধ রেখে আবার পুনরায় চালু করে।
এদিকে সর্বশেষ গত ১ জুলাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার ২টি অবৈধ ড্রেজার বিনষ্ট করেন। কিন্তু এতেও থেমে নেই ড্রেজিং দৌরাত্ম্য।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান, আমরা সংবাদ পেলেই ব্যবস্থা নেই। এবারো অবৈধ ড্রেজিং বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।