প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২১, ০০:০০
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে চলছে যে মাদ্রাসাটি-
মহামারী করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯)-এর ভয়াবহতা লক্ষ্য করে করোনা ভাইরাস শুরুর প্রথম থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধি করায় এখনো স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন বা ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও শিক্ষা প্রদানের জন্যে এখনো ক্লাসরুমগুলো রেখেছেন তালাবদ্ধ। কিন্তু শুরু থেকেই এর ব্যতিক্রম ঘটে চলছে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ মমিনপুর গ্রামে। এই গ্রামে অবস্থিত মমিনপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ নির্দেশ অমান্য করে প্রতিদিন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ রাসেদ তার হেফজখানা ও মক্তব চালু রেখেছেন। কোনো নিয়মনীতি ও আদেশের তোয়াক্কা না করে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে লোকচক্ষুর অন্তরালে তিনি প্রায় দুই শতাধিক কোমলমতি ছাত্রদের মাঝে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। মাদ্রাসার দোতলায় চলে এই শিক্ষা কার্যক্রম।
|আরো খবর
এ ব্যাপারে প্রিন্সিপাল মাওলানা মোঃ রাসেদের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী আমরা মাদ্রাসা ছুটি ঘোষণা করেছি এবং অভিভাবকদেরকে তাদের সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। কিন্তু তারা লকডাউনের জন্যে আসতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়েই ছাত্রদেরকে এই বন্ধকালীন সময় এখানে রাখতে হয়েছে। তবে তার হেফজখানা ও মক্তব চালু রাখার ব্যাপারে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। বর্তমান সময়ে করোনার ভয়াবহতার কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। কিন্তু সরকারের এই ঘোষণার পরও কী করে কোন্ যুক্তিতে মমিনপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার হেফজখানা ও মক্তব খোলা রাখা হয়েছে, তা সাধারণ মানুষের বোধগম্য না হওয়ায় অনেকেই হতাশা ব্যক্ত করে জানতে চেয়েছেন, মমিনপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কি আলাদা কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেছে?