শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

জেলা পরিষদে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া

এ জাতিকে কুলাঙ্গারমুক্ত করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী

এ জাতিকে কুলাঙ্গারমুক্ত করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে  : আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী
অনলাইন ডেস্ক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উদ্যাপনকল্পে জেলা পরিষদের আয়োজনে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ অক্টোবর সোমবার বেলা ১২টায় জেলা পরিষদের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী। তিনি বলেন, আমি প্রথমেই জাতির পিতার পরিবারের যাঁদেরকে হত্যা করা হয়েছে তাঁদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক মহামানব ষড়যন্ত্রে হত্যার শিকার হয়েছেন। তেমনি জাতির পিতাকেও ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। তারা সেদিন নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকেও ছাড় দেয়নি।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট যেভাবে জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, সেটি একদিনে সংঘটিত হয়নি। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে তাঁকে হত্যা করেছে। তিনি সবসময় বাঙালিদের নিয়ে কাজ করতেন, বাঙালিদের নিয়ে ভাবতেন। বাঙালিকে ভালোবাসতেন। এই বাঙালি জাতি, এই বাংলাদেশকে নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁর সেই সুন্দর স্বপ্নগুলো পূরণ হবার আগেই তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সেদিন সবাই দেখেছেন জাতির পিতাকে কী নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারপর শেখ রাসেলকেও বাদ দেননি তারা। শেখ রাসেল কেনো জাতির পিতার সন্তান হলো, এটাই কি তার অপরাধ ছিলো ? তা না হলে কেনো নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে ? এ হত্যার মাধ্যমে তারা বিশে^র কাছে দেশকে কলঙ্কিত করেছে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যাঁদের অনেক বিশ^াস করেছিলেন, তারাই তাঁর সাথে বিশ^াসঘাতকতা করে তাঁকেসহ পরিবারের সকলকে হত্যা করেছে। তারা তাঁর সেই আত্মবিশ^াসের মর্যাদা দেয়নি।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, ওইসব ষড়যন্ত্রকারী আজকে ধর্মের দোহাই দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। যারা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে তারা কুলাঙ্গার। এ জাতিকে কুলাঙ্গারমুক্ত করতে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বর্তমান প্রজন্মকে ইতিহাস জানিয়ে আমাদের সবাইকে এক ও অভিন্ন হয়ে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন রাসেল, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ মুকবুল হোসেন মিয়াজী, সদস্য মোঃ সালাউদ্দিন, জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য আয়শা রহমান লিলি, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাসুদুর রহমান পরান, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ করিম বাবু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মনির হোসেন। দোয়া ও আলোচনা সভার পূর্বে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ অন্য সদস্যরা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়