প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান। আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী চলবে জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষার এ কার্যক্রম। গতকাল ১৫ অক্টোবর ছিলো অভিযানের ১২তম দিন। এদিন পদ্মা-মেঘনার চাঁদপুর সীমানায় ৮টি অভিযান ও ৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। অভিযান চালিয়ে ১.৯৫০ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। যার মূল্য ৩৯ লক্ষ টাকা। এ সময় চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩ জন ও মতলব উত্তর উপজেলার ২ জন অসাধু জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর ২টি মামলা করেছে বলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়। এদিন চাঁদপুর সদরে ১টি, হাইমচরে ১টি, মতলব উত্তরে ১টি, মতলব দক্ষিণে ২টি, হাজীগঞ্জে ১টি ও ফরিদগঞ্জে ১টিসহ মোট ৮টি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে এ সকল স্থান থেকে ০.০৪০ মেঃ টন ইলিশ জব্দ করা হয়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সূত্রে আরো জানা যায়, গতকাল অভিযানে ১টি নৌকা জব্দ করা হয়।
পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে ২২দিন নদীতে জাল ফেলা নিষেধ তথা ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিঠাপানিতে মা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতেই এ অভিযান শুরু। এ লক্ষ্যে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৭০ কিলোমিটার এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় ইলিশের আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহন করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অভিযানকালে অসাধু মৎস্য শিকারীরা থেমে নেই। তারা গোপনে নদীতে মাছ ধরা ও বিক্রি করে যাচ্ছে।