শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

আজ বিসর্জন ॥ শারদীয় দুর্গোৎসবের আড়ম্বরতা পরিহার
বিমল চৌধুরী ॥

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আজ শেষদিন। মহা ধুমধামে উৎসবের শুভ সূচনা হলেও আজ নিরানন্দের মধ্য দিয়েই শেষ হবে চাঁদপুর জেলার বিসর্জন পর্ব। আজ সকল ধরনের আড়ম্বরতা পরিহার করে দুপুর ৩টার পর থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত যার যার সুবিধাজনক স্থানে বিসর্জন পর্ব সম্পন্ন করার জন্যে অনুরোধ জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।

এ উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ গতকাল ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের কালীবাড়ি মন্দিরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় মিলিত হন। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়ের সভাপ্রধানে মতবিনিময় করেন জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী (পিপি), জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল সাহা, সদর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, কিশোর কুমার শংকর, পরেশ চন্দ্র মালাকার, প্রবীর পোদ্দার, সঞ্জিত পোদ্দার, কার্তিক সরকার, রতন মজুমদার, লিটন মজুমদার, তাপস রায় প্রমুখ।

সভায় সকল প্রকার আড়ম্বরতা পরিহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গত ২ দিন আগে কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া অনাকাক্সিক্ষত, অপ্রীতিকর পরিস্থিতির কারণে চাঁদপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বলে জানা যায়। তারা শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব সম্পন্ন করাসহ সন্ধ্যা রাত্রির আগেই বিসর্জন পর্ব সম্পন্ন করার অনুরোধ জানান পূজারীদের। নেতৃবৃন্দ হাজীগঞ্জসহ চাঁদপুর জেলার ক’টি স্থানে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্য প্রশাসনের আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান। তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

গতবছর বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে শারদীয় দুর্গোৎসব স্বাস্থ্যগত বিধিনিষেধের বেড়াজালে আটকে পড়ে। পূজারীরা করোনার কারণে নিয়মের পূজা সম্পন্ন করেন কেন্দ্রীয় পূজা পরিষদের নির্দেশনা মেনে। গতবছর চাঁদপুর জেলায় ২০২টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব সম্পন্ন হলেও এ বছর তা বেড়ে ২১১টি পূজামণ্ডপ শারদ উৎসবে মেতে উঠে। প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশনার প্রতি লক্ষ্য রেখে পূজারীগণ সকল আয়োজন সম্পন্ন করেন এবং গত ১১ অক্টোবর সকল আয়োজন শেষে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু করেন দীর্ঘ অপেক্ষার মাতৃবন্দনা শ্রী শ্রী শারদীয় দুর্গোৎসব। বৈদ্যুতিক নানান রং বেরং-এর বাতির আলোয় আলোকিত সুউচ্চ দৃষ্টিনন্দন প্যান্ডেলে স্থান পায় মাতৃরূপী জগৎ কল্যাণদায়ী শ্রী শ্রী দুর্গাদেবী। স্থান পায় লক্ষ্মী, সরস্বতীসহ দুর্গামায়ের সন্তানেরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেবী দুর্গাকে মণ্ডপে স্থাপন করতে পেরে পূজারীদের মাঝে দেখা দেয় পরম আনন্দ। সেই আনন্দে ভাটা পড়ে গত ১৩ অক্টোবর বুধবার মহাষ্টমী পূজার দিনে। উৎসাহে ভাটা পড়ে কতিপয় দুষ্কৃতকারীর অসাম্প্রদায়িকতার নির্মম নিষ্ঠুর আচরণে। কুমিল্লায় ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে পূজারীসহ দর্শনার্থীদের মাঝে দেখা দেয় অজানা আতঙ্ক। সংকুচিত হয়ে পড়ে পূজারীদের মন মানসিকতা। থমকে দাঁড়ায় দর্শনার্থীদের পূজা মণ্ডপে উপস্থিতি। নবমী পূজায় তার প্রতিফলন ফুটে উঠে। নবমীর সকালে পূজামণ্ডপে দেখা যায়নি তেমন দর্শনার্থী। তবে বিকেলে শহরের পূজামণ্ডপে দর্শনার্থীর উপস্থিতি কিছু দেখা গেলেও বিভিন্ন উপজেলা থেকে পূজা দেখতে আগত দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল অনেকটাই কম। এ বছর পূজা আয়োজনকারীদের আশা ছিল গতবছর করোনার কারণে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি তেমন না হলেও এবার দর্শনার্থীদের পূজাদর্শনে ঢল নামবে। অবশেষে তা আর হয়ে উঠলো না জেলা শহরের অনেক স্থানে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়