প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
ত্রিশ বছরেও সরকারিকরণ হয়নি হাজীগঞ্জ উপজেলার কালচোঁ মধ্যপাড়া রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। ক্রমেই ঝরে যাচ্ছে শিক্ষার্থী। হতাশ এখন স্বপ্ন দেখা ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের।
সরজমিনে দেখা যায়, জরাজীর্ণ কালচোঁ মধ্যপাড়া রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এ যুগের একটি গোয়ালঘরকে হার মানাবে। ১৯৯১ সালে স্থাপিত হয় বিদ্যালয়টি। সরকারিকরণের জন্যে ৩৩ শতাংশ জমিও রয়েছে বিদ্যালয়টির। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। প্রায় ৮০ জন শিক্ষার্থী আছেন বিদ্যালয়টিতে।
আরো জানা যায়, ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারাদেশের ন্যায় হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৫৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের ঘোষণা হয়। কিন্তু কালচোঁ মধ্যপাড়া রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির নাম ওই তালিকায় আসেনি।
বিদ্যালয়টি নিয়ে জীবনের দুঃখ-গাঁথার গল্প তুলে ধরে শিক্ষিকা নাছিমা বেগম বলেন, চাকুরি জীবনের শেষপ্রান্তে এসেও চাই বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হোক। এ স্বপ্ন মৃত্যু পর্যন্ত দেখে যাবো।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘ ত্রিশ বছর ধরে সাইকেলের উপর নির্ভর করে প্রতিনিয়ত সরকারিকরণের স্বপ্ন দেখতে দেখতে স্কুলে আসেন। ২০১৩ সালে উপজেলার ৫৩টি বিদ্যালয় সরকারি ঘোষণায় নিজের বিদ্যালয়ের নাম না থাকায় মর্মাহত হয়ে পড়েন তিনি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অলিউল্যাহ্ মুন্সি বলেন, বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের জন্যে সম্পত্তি দিয়েছি। সরকারের দায়িত্বশীলদের কাছে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণে আমার স্বপ্ন।
জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, তৎকালীন সময়ে কী ত্রুটি ছিলো তা আমার জানা নেই। তবে নতুন করে আরো একটি তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাহাব উদ্দিন বলেন, কালচোঁ মধ্যপাড়া রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির যেসব তথ্য মন্ত্রণালয় চেয়েছে, তা পাঠানো হয়েছে। তারপরও সরকারিকরণে বিদ্যালয়টির জন্যে সকল ধরনের সহযোগিতা থাকবে।