শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

জেলায় দেবী বরণে প্রস্তুত ২১১টি পূজামণ্ডপ
বিমল চৌধুরী ॥

দেবী বরণে আজ থেকে শেষ হচ্ছে অপেক্ষার প্রহর। আজ ১১ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় শ্রীশ্রী দুর্গাদেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও ষষ্ঠিবিহিত পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের টানা ৫ দিনব্যাপী বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীর বোধন (জাগরণ) হয়ে থাকলেও আজ হবে দেবীর মর্ত্যে আগমন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস মতে, এ বছর দেবী দুর্গা পুত্র-কন্যাদের সাথে নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে পৃথিবীতে আগমন করবেন। পঞ্চম দিন অর্থাৎ আগামী ১৫ অক্টোবর শুক্রবার শ্রীশ্রী দুর্গাদেবীর দশমীবিহিত পূজা শেষে ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলি গ্রহণ করে দেবী দুর্গা পালকিতে চড়ে স্বামীর গৃহের উদ্দেশ্যে মর্ত্যলোক ত্যাগ করবেন।

দেবীর মর্ত্যলোকে আগমনকে কেন্দ্র করে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীগণ মহা ধূমধামে, উৎসবমুখর পরিবেশে দেবীবরণে হয়ে উঠেছেন ব্যস্ত। তারা দেবীর সন্তষ্টি কামনায় বৃহৎ পরিসরে আয়োজন করেছেন দেবী পূজার। পূজা ম-পগুলো করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন। স্থাপন করা হয়েছে লাল, নীল রং বেরংয়ের নানা বৈদ্যুতিক বাতি। আজ সন্ধ্যা রাত থেকে ঢাক-ঢোলের বাজনায় মুখরিত হয়ে উঠবে পূজাম-প। তবে কোনো কোনো পূজা ম-পের গুটিকয়েক ভক্তের অতিরঞ্জিত বৃহৎ শব্দের নাচ-গান আর হৈ হুল্লোড়, ভক্ত হৃদয়ের কাছে হয়ে উঠবে অসহ্য জ্বালা যন্ত্রণার কারণ। পূজা বহির্ভুত এসব কার্যক্রম বন্ধে পূজা পরিষদসহ ধর্মপ্রাণ সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তবৃন্দ যথেষ্ট আন্তরিক থাকলেও তাদের এই আন্তরিকতা ব্যর্থতায় রূপ নেয়।

শারদীয় দুর্গোৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে যোগ দিতে দেখা যায়। এজন্য সার্বজনীন উৎসব হিসেবে দুর্গাপূজার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। সারাদেশে ব্যাপক আয়োজনে এ বছর প্রায় ৩২ হাজারের উপরে পূজাম-পে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গা পূজা। সেদিক থেকে চাঁদপুর জেলায় দেবীবরণে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ২১১টি পূজাম-প। যা গত বছর করোনাকালীন সময়ে ছিল ২০২ টি। এর মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলায় ২টি বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৩৪টি পূজাম-প, কচুয়া উপজেলায় ২টি বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৪১টি পূজা ম-প, মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৩টি বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৩৫টি পূজাম-প, মতলব উত্তর উপজেলায় ১টি বৃদ্ধি পেয়ে ৩০টি পূজাম-প, হাজীগঞ্জে ১টি বৃদ্ধি পেয়ে মোট ২৮টি পূজাম-প, হাইমচর উপজেলায় ৬টি পূজাম-প, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ২০টি পূজাম-প ও শাহরাস্তি উপজেলায় ১৭টি পূজাম-প। তবে ২১১টি পূজাম-পের বাইরে মতলব উত্তর উপজেলায় আরো ১টি পূজা ম-প বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মতলব উত্তর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতা শ্যামল দাস জানান। পূজাটি শেষ মুহূর্তে আয়োজন করায় তা জেলায় অনুষ্ঠিত পূজা সমূহের তালিকায় লিপিবদ্ধ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। ইতিমধ্যে দেবী বরণে সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছেন পূজারীগণ।

গতকাল থেকেই আলোকিত হয়ে উঠেছে সকল পূজাম-প। আজ সন্ধ্যা রাত থেকে বেজে উঠবে ঢাক-ঢোল আর কাশার ঘন্টা। পরদিন চ-ী পাঠে মুখরিত হবে পূজাম-প। ভক্তরা ভিড় জমাবেন দেবীবরণে।

পূজারীদের ধারণা, এ বছর করোনার প্রভাব কম থাকায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি থাকবে অনেকটাই বেশি। সেদিক লক্ষ্য রেখে অনেক পূজাম-পেই রাখা হয়েছে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আলাদা আলাদা পথ। নিরাপত্তার লক্ষ্যে অনেক ম-পে স্থাপিত হয়েছে সিসি ক্যামেরা, রাখা হয়েছে বিকল্প আলোর ব্যবস্থাসহ নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক কর্মী, রাখা হয়েছে করোনা প্রতিরোধক স্যানিটেশন ব্যবস্থা। পূজার নিরাপত্তা প্রদানে প্রশাসন গ্রহণ করেছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পূজার এ ক’দিন রাস্তাঘাটে থাকবে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি। লক্ষ্য একটাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা। শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সহযোগিতা কামনা করেছেন চাঁদপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়