সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২১, ০০:০০

ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিংবডি বাতিল করেছে হাইকোর্ট
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

চাঁদপুর সদর উপজেলার ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিংবডির অভিভাবক সদস্য আঃ রাজ্জাক মিজির (পিতা আঃ হাই মিজি) দায়েরকৃত রিটে মহামান্য হাইকোর্ট কলেজের গভর্নিংবডি বাতিল করেছে।

গভর্নিংবডির সভাপতি হচ্ছেন সুজিত রায় নন্দী। ফলে এই কলেজ পরিচালনা পর্র্ষদের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেলো। যার পিটিশন নং ৩৯২২/২০২১, তারিখ ০৯/০৩/২০২০খ্রিঃ। রিটের শুনানি শেষে গত ২৭ জুন ২০২১ তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের একটি ডিভিশন বেঞ্চ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিধিবহির্ভূতভাবে স্মারক নং-০৭ (চ-১০৪৮) জাতীঃবিঃ/কঃপঃ/কোড-৩৯২৭/৪৭৫৭৭, তারিখ : ০৯/০৩/২০২০খ্রিঃ-এর মূলে গঠিত ও অনুমোদিত গভর্নিংবডি কেনো বেআইনি/বাতিল ঘোষণা করা হবে না মর্মে বিবাদী; আইন সচিব, শিক্ষা সচিব, ভাইস চ্যান্সেলর; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রেজিস্টার; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ পরিদর্শক; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মহাপরিচালক (মাউশি), চেয়ারম্যান; মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, কুমিল্লা, জেলা প্রশাসক, চাঁদপুর, ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি সুজিত রায় নন্দী ও ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)-এর প্রতি রুল জারি করেন। উক্ত রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ২৭ জুন ২০২১ তারিখ হতে সুজিত রায় নন্দীর নেতৃত্বে গভর্নিংবডির যাবতীয় কর্যক্রম স্থগিত করেন।

রিট আবেদনকারী তার আবেদনে জানান, বর্তমান গভর্নিংবডির সভাপতি সুজিত রায় নন্দী অন্যায় ও অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তার করতো। তিনি স্বঘোষিতভাবে ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিজেকে দাবি করতো। ২০০৯ সাল হতে পরপর ৫ বার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কুমিল্লা ও জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ে প্রভাব বিস্তার করে তিনি নিজেকে সভাপতি পদে আসীন করেন।

আবেদনকারী আরও জানান, সুজিত রায় নন্দী ১২ বছরের ঊর্ধ্বকাল যাবৎ প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতির পদ ব্যবহার করে কলেজ শিক্ষকদের বেআইনিভাবে অপসারণ, প্রাক্তন অধ্যক্ষকে জাল-জালিয়াতি করে অব্যাহতি, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সাথে খারাপ ব্যবহার ও পুলিশি হুমকি, কলেজের মহাত্মাগান্ধী ভবনের টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষক-ছাত্রদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানি করা, শিক্ষক, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে বাণিজ্য এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও কলেজের বিভিন্ন দুর্নীতি করে আসছেন।

আবেদনকারী আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করে বিধিবহির্ভূতভাবে বারবার সুজিত রায় নন্দী সভাপতির পদে মনোনয়ন নেন। সর্বশেষ ২ বছরের জন্যে গভর্নিং বডির মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহের গভর্নিংবডির নীতিমালা ১৯৯৪-এর ৪ (১) ধারার পরিপন্থী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়