শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

প্রতারণার মামলায় আপস শর্তে জামিন পেলেন ড. আলমগীর কবির পাটোয়ারী
পাপ্পু মাহমুদ ॥

প্রতারণার মামলায় আহমাদ আলী পাটোয়ারী ওয়াক্ফ এস্টেটের মোতাওয়াল্লী ও সচিব ড. আলমগীর কবির পাটোয়ারী আপস-শর্তে ১ মাসের জামিন পেয়েছেন। গত ৬ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালত আপস-মীমাংসার শর্তে প্রতারণার মামলায় আলমগীর কবির পাটোয়ারীর জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলা ও পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আজাদ রহমান মাসুদ মজুমদার গত ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে ৪০৬/৪২০ ধারায় আলমগীর কবির পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটি গত ২৩/১১/২০২০ তারিখে তদন্তের জন্যে পিবিআইকে দায়িত্ব দেন আদালত। পিবিআই দীর্ঘদিন তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার সত্যতা পান বলে উল্লেখ করা হয়।

আহমেদ আলী ওয়াক্ফ এস্ট্রেট বিজনেস পার্ক মকিম উদ্দিন শপিং সেন্টার নামে বহুতল ভবন নির্মাণ করার লক্ষ্যে দোকানঘর বরাদ্দের টেন্ডার আহ্বান করেন। টেন্ডারে মাসুদ মজুমদার সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে অ-০৫, ই-০৫ ও ই-০৪ বরাদ্দ পান। তার বিপরীতে বাদী ২৫% ডাউন পেমেন্ট প্রদান করেন। অ-০৫, ই-০৫ ও ই-০৪ এ তিনটি দোকানের জন্যে প্রতিটি ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পের মাধ্যমে বিবাদী সহি-স্বাক্ষর করে বায়নাপত্র বাদীর বরাবরে হস্তান্তর করেন। বাদী আজাদ রহমান মাসুদ মজুমদার দোকান বরাদ্দ বাবদ বিবাদীকে চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা প্রদান করেন। গত ৯/৯/২০২০ তারিখে আরো ১৩ লাখ টাকা গ্রহণ না করে বিবাদী আলমগীর কবির পাটোয়ারী ৩৩ লাখ ৩৬ টাকা বেশি পেয়ে অন্য ৩ ব্যক্তিকে এ ৩টি দোকান বুঝিয়ে দেন।

মামলার বাদী আজাদ রহমান মাসুদ মজুমদার চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, আমি বিজনেস পার্ক মকিম উদ্দিন শপিং সেন্টারে তিনটি দোকান বরাদ্দ নিই। ১ কোটি ১৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকার মধ্যে ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা প্রদান করি এবং আরো ১৩ লাখ টাকা দেয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আলমগীর কবির পাটোয়ারী আমার টাকা গ্রহণ না করে ৩৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বেশি পেয়ে অন্য লোকদের দোকানগুলো বুঝিয়ে দেন। তাই আমি তার বিরুদ্ধে আদালতে বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার মামলা করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়