প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
কচুয়া উপজেলার ৭৯নং হারিচাইল-হাসিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় অধিবাসী খোরশেদ আলী পাটওয়ারী তার দুর্নীতির বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালকের (প্রাথমিক শিক্ষা) নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা কর্তৃক স্বেচ্ছাচারিতামূলক কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান ও সহ-সভাপতি মহিনউদ্দিন শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। বিধি মোতাবেক সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদত্যাগ করলে কমিটি বাতিল বলে গণ্য হয়। উক্ত বিধির কোনো তোয়াক্কা না করে একটি রেজুলেশনে সদস্যদের স্বাক্ষর নকল করে ব্যাংকে জমা দিয়ে লিটন নামের এক সদস্যকে সভাপতি দেখিয়ে সোনালী ব্যাংক, রহিমানগর শাখায় বিদ্যালয়ের হিসাব নম্বর থেকে স্লিপ ৭০ হাজার এবং রুটিন মেনটেইনেন্স ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় নানা ফল গাছ কেটে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান।
ওই অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক স্থানীয় অধিবাসী হওয়ায় কিছু স্বার্থান্বেষী লোকদের হাত করে তিনি প্রভাব বিস্তার করে এসব অনিয়ম করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে তাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পায়। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও উপ-পরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগ হওয়া সত্ত্বেও অদ্যাবদি সংশ্লিষ্ট বিভাগের পক্ষ থেকে তার অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম বা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোনো অনিয়মের আশ্রয় নেননি বলে দাবি করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সফিকুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।