শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

সাহিত্য একাডেমীর ‘সুবর্ণ-শতক’ স্মারক গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা

বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে আমরা যদি কোন কিছু চিন্তা করি তাহলে আর বাংলাদেশ থাকবে না : ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক ফারুক হোসেন

সুবর্ণ-শতক স্মারক গ্রন্থটি একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে : জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ

বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে আমরা যদি কোন কিছু চিন্তা করি তাহলে আর বাংলাদেশ থাকবে না : ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক ফারুক হোসেন
বিমল চৌধুরী ॥

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সাহিত্য একাডেমী চাঁদপুরের উদ্যোগে প্রকাশিত ‘সুবর্ণ-শতক’ স্মারক গ্রন্থের পাঠ পর্যালোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। কবি, সাহিত্যিক, ছড়াকার ও সুধীজনের ব্যাপক উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত পাঠ পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, আজকের ব্যাপক উপস্থিতিতেই বোঝা যায় অনুষ্ঠানের গুরুত্ব। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলা একাডেমী থেকে শুরু করে সারাদেশে অনেক বই প্রকাশ হয়েছে। যদি সবগুলো প্রকাশনা একত্রিত করে এক জায়গায় এনে বিচার করা হয়, তাহলে প্রথম ১০টির মধ্যে সুবর্ণ-শতক স্মারক গ্রন্থটিও স্থান পাবে। আমি চাঁদপুরের মানুষ, চাঁদপুর সরকারি কলেজের ছাত্র। চাঁদপুরকে নিয়ে আমার অহঙ্কার রয়েছে। আমি যতটুকু জানি জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল, মাজেদুর রহমান খান ও অঞ্জনা খান মজলিশ চাঁদপুরের শিল্প সাহিত্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট কাজ করছেন। এরা চাঁদপুরকে যথেষ্ট ভালোবাসেন। তাঁরা চাঁদপুরের উন্নয়নে এখানকার মেধাবী মানুষগুলো মেধার বিকাশ ঘটিয়েছেন। বাংলার স্বাধীনতার মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে আমরা যদি কোন কিছুর চিন্তা করি তাহলে আর বাংলাদেশ থাকবে না। আমাদের চলনে- বলনে জাতির জনকের আদর্শের চিন্তা থাকতে হবে। তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে, তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। একটি শিশুকে তার বাবা বলেছিলেন তুমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ছবি আঁক, সে আঁকতে পারেনি। কিন্তু কিভাবে আকবে। স্বাধীনতার তো কোন আকৃতি নেই, নেই দৃশ্যমান কোনো চিত্র, তাই সে আঁকতে পারেনি। পরে তাকে বলা হলো তাহলে তুমি ত্যাগ আঁকো। এবারও সে তা আঁকতে পারেনি, পরবর্তীতে বলা হলো তাহলে তুমি সংগ্রামের ছবি আঁকো। এবারও সে তা আঁকতে পারেনি। পরে তার বাবা বললো, তুমি চোখ বন্ধ করে স্বাধীনতা, ত্যাগ, সংগ্রাম তিন বিষয়কে একত্রিত করে ভাবো, যা তোমার মনে আসে তাই তুমি আঁকো। মেয়েটি চোখ বন্ধ করে বলে উঠলো- সেটি তো বঙ্গবন্ধুর ছবি। এই হলো আমাদের বঙ্গবন্ধু। যাঁকে চোখ বন্ধ করে ভাবা যায়, তাঁর আদর্শ নিয়ে চিন্তা করা যায়। তিনি ‘সুবর্ণ-শতক’ স্মারকে প্রকাশিত নিজের কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

জেলা প্রশাসক ও সাহিত্য একাডেমী চাঁদপুরের সভাপতি অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপ্রধানে আলোচকদের মাঝে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও কথাসাহিত্যিক মঈনুল হাসান ও জেলা শিল্পকলা একাডেমী চাঁদপুরের কালচারাল অফিসার সৈয়দ আয়াজ মাবুদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমী চাঁদপুরের মহাপরিচালক কাজী শাহাদাত।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সুবর্ণ-শতক’ স্মারক গ্রন্থটি একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে। এই গ্রন্থটিতে আঃ গাফ্ফার চৌধুরী, সেলিনা হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনিসহ অনেক প্রতিথযশা লেখকের মানসম্পন্ন লেখা গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। স্মারক গ্রন্থটি প্রকাশ করতে গিয়ে সাহিত্য একাডেমী চাঁদপুরের মহাপরিচালক কাজী শাহাদাত ও সম্পাদক ডাঃ পীযুষ বড়–য়া ও ফরিদ হাসান যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন। তাঁদেকে ধন্যবাদ জানাই। এই প্রকাশনার মধ্যেই আমাদের সন্তুষ্ট থাকলে হবে না। আমাদেরকে আরো কাজ করতে হবে। চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আগ্রহী লেখকদের উৎসাহ দিতে হবে। করোনার কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে গিয়েছি। এ সময় আমি চেষ্টা করেছি শিল্পী, কলা কুশলী, সাংবাদিক, লেখকদের পাশে থাকতে এবং তাদেরকে সাধ্যমত সহযোগিতাও প্রদান করেছি। চাঁদপুরের শিল্প সাহিত্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি কাজ করব। এজন্য আপনাদের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। আজ প্রধান অতিথি ও আলোচকবৃন্দ শুধুমাত্র ‘সুবর্ণ-শতক’-এর উদ্বোধনের জন্য চাঁদপুরে ছুটে এসেছেন। তাতেই বোঝা যায় তাঁরা চাঁদপুরকে কতটা ভালোবাসেন।

বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও ছড়াকার ডাঃ পীযুষ কান্তি বড়ুয়ার উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাহিত্য একাডেমীর পরিচালক অজয় কুমার ভৌমিক, সুবর্ণ-শতকের সম্পাদক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান ও ছোট কাগজের সম্পাদক নূরে আলম পাটওয়ারী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন আব্দুর রহমান গাজী ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন বিমল চৌধুরী। পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিমনা মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যণীয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়