শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
  •   অবশেষে চাঁসক সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাছানকে বদলি
  •   নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সড়কের ওপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ
  •   বাবা মায়ের উপর ছেলেদের নৃশংসতা ।। বৃদ্ধ বাবার থানায় অভিযোগ
  •   ফিরে এলেন আগের খতিব, নামাজের আগে নাটকীয়তা বায়তুল মোকাররমে

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

অতিবৃষ্টিতে সব হারানো মৎস্যচাষিদের এবার জলমহাল থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥
অতিবৃষ্টিতে সব হারানো মৎস্যচাষিদের এবার জলমহাল থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা

টানা ভারী বৃষ্টিতে মৎস্যচাষের জলমহাল থেকে পানিতে ভেসে যায় কোটি কোটি টাকার মাছ। পথে বসার উপক্রম হয় মৎস্যচাষিদের। সেই দুরবস্থা কাটিয়ে উঠতে নানা চেষ্টার মধ্যেই জলমহালের ইজারা নিয়ে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। প্রকৃত তথ্য গোপন করে জলমহাল থেকে মৎস্যচাষিদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা চলছে-- এমন অভিযোগ তুলে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মৎস্যচাষিরা।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ঘটনা এটি। উপজেলার হর্ণি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির পক্ষে এমএ সাইদ পাটওয়ারী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার গজারিয়া, চরপোয়া, রনাতলী মৌজা ও গজারিয়া হর্ণি বদ্ধ জলাশয় জলমহালটিতে হর্ণি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির মাধ্যমে মৎস্যচাষিরা দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি নিয়মানুযায়ী ইজারার মাধ্যমে মাছের আবাদ করছেন। সেচ প্রকল্পভুক্ত এলাকা হওয়ায় তারা এতোদিন মাছ চাষ করে আসলেও কিছুদিন পূর্বের টানা বর্ষণে তারা সর্বস্বান্ত হন। বৃষ্টির পানিতে ভেসে যায় কোটি কোটি টাকার মাছ। এরই মধ্যে ছাত্রঅধিকারের নাম ভাঙ্গিয়ে একটি চক্র মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে তাদের হয়রানি শুরু করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ওই চক্রটি লিখিত অভিযোগ দেয়। যদিও ওই অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাননি বলে জানান মৎস্যচাষিদের একজন এমএ সাইদ পাটওয়ারী।

তিনি জানান, এমনিতেই আমরা বৃষ্টিতে কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ার দুরবস্থার মধ্যে রয়েছি। এর মধ্যে আবার ছাত্র অধিকারের নাম ভাঙ্গিয়ে পতিত সরকারের দোসররা তাদের হয়রানি করছে। এই অবস্থা থেকে তারা মুক্তি পেতে গত ৯ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। মিথ্যা প্রোপাগান্ডা এভাবে চলতে থাকলে তাদের ইজারাকৃত জলমহালটি লুটপাটের শিকার হবে বলে তারা আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, ওই সমিতি জেলা প্রশাসক থেকে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে। ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে আমি সরেজমিন গিয়ে কোনো সত্যতা খুঁজে পাইনি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়