শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

হাজীগঞ্জে প্রকৃত আসামীদের আটক চান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা

কামরুজ্জামান টুটুল ॥
হাজীগঞ্জে প্রকৃত আসামীদের আটক চান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা

পাঁচ বছর আগে হত্যার শিকার হন হাজীগঞ্জের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নূরে আলম পাটওয়ারী নূরু (২২)। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে মামলা করলে আটক হয় একাধিক ব্যক্তি। পরে জামিনে বের হয়ে আসে আসামীরা। এ হত্যার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরাসহ নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। সেই হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা। এ নিয়ে সম্প্রতি মানববন্ধনও হয়েছে এলাকায়। এছাড়া তদন্তপূর্বক প্রকৃত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার, উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিতকরণ, এজাহারভুক্ত আসামীেদর মুক্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি প্রদান এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয়সহ আদালতের সামনে মানববন্ধন করবেন বলেও জানান মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীগণ।

গত ২৫ আগস্ট রোববার বিকেলে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলনে, মামলা থেকে বাঁচতে এবং অন্যদের ফাঁসাতে নিরীহ লোকজনকে আসামী করা হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার নূরুর প্রতিবেশীরা। আর প্রকৃত আসামীরা বিচারের মুখোমুখি না হওয়ায় ওই ইউনিয়নে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

উপজলোর বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলি গ্রামের দক্ষিণ-পূর্ব ঈদগাহ মাঠের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ আয়োজিত উল্লেখিত ব্যানারে ওই এলাকার মহীউদ্দীন দুলাল ও গোলাম কিবরিয়াকে খুনি উল্লখে করে তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।

প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা বলনে, মহীউদ্দীন দুলাল ও গোলাম কিবরিয়া এলাকার নিরীহ লোকজনকে আসামী করেছে এবং আসামী করার ভয় দেখিয়ে বাণিজ্য করেছে। আমরা চাই নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং যারা হয়রানি শিকার হয়েছে তাদেরকে মুক্তির ব্যবস্থা করা হোক।

এ সময় তারা আরও বলেন, গোলাম কিবরিয়া নিজে ও তার পরিবারকে বাঁচাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার নুরুর ভাই প্রতিবন্ধী খোরশদে আলম পাটওয়ারীর সাথে তার শিক্ষিত বোনকে বিয়ে দিয়ে দেয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হত্যাকাণ্ডের শিকার নূরুর চাচা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মোঃ ইউসুফ পাটওয়ারী, এলাকাবাসীর পক্ষে হুমায়ুন কবির, ইয়াছিন পাটওয়ারী ও নূরে আলম ফরাজী। মানববন্ধনে ওই এলাকার প্রায় শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া সে সময় বলেন, নুরু হত্যা মামলার আসামীরা যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, সেখানে আমি ও আমার বাবার নাম ছিলো না। এখন প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে একটি পক্ষ।

উল্লখ্যে, ২০১৯ সালের ২৮ মে সকালে উপজলোর বড়কুল-এন্নাতলী মাঠের একটি হালট থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নূরে আলম পাটওয়ারী নুরুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে এন্নাতলী গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির আবুল বাসারের ছোট ছেলে। এ ঘটনায় নূরুর মা হোসনে আরা বেগম বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে আসামী হিসেবে কাউছার হামিদ মিয়াজী, হুমায়ুন বেপারী, মোঃ ইউসুফ পাটওয়ারী, মোঃ আব্দুর রহিম ও আক্তার ফরাজীসহ আরো অনেককে উল্লেখ করা হয়। ওই সময়ে নামীয় আসামীদের গ্রেফতার এবং পরে তারা জামিনে বের হয়ে আসেন।

এদিকে এজাহারে নামীয় আসামীরা দাবি করেন, তারা নূরু হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত নন। প্রকৃত আসামীরা বাণিজ্য করতে এবং মামলা থেকে বাঁচতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও নিরীহ লোকজনকে ফাঁসিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়