মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ৩৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

বিএনপির দুঃসময়ের সাহসী কাণ্ডারী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক

স্টাফ রিপোর্টার ॥
বিএনপির দুঃসময়ের সাহসী কাণ্ডারী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক

দীর্ঘ দেড়যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে চাঁদপুর জেলায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। বিএনপির বিগত সকল আন্দোলন-সংগ্রামে দুর্দিনে নেতা-কর্মীদের পাশে একমাত্র অভিভাবক হিসেবে ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির ওয়ানম্যান আর্মি খ্যাত তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। যিনি তাঁর সাহসী নেতৃত্বে জেলা বিএনপিসহ সকল অঙ্গ সংগঠনকে একত্রিত রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করে রেখেছেন।

তৃণমূল কর্মীদের দাবি, সুসময়ে বহু অতিথি নেতার বিএনপির রাজনীতিতে দেখা গেলেও দুঃসময়ে তাদের দেখা যায়নি। দলের যে কোনো বিপর্যয়ের সময় চাঁদপুরের রাজপথ থেকে শুরু করে ঢাকার রাজপথে দলের আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। পাশাপাশি হামলা-মামলায় আহত অবস্থায় হাসপাতালে থাকা নেতাদের পাশে একমাত্র শেখ মানিকই ছিলেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে চাঁদপুরে বিএনপিসহ দলের সকল অঙ্গ-সংগঠনগুলোকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিটি সংগঠনকে শক্তিশালী সংগঠনে রূপ দিয়েছেন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। যার কারণে চাঁদপুরে বিএনপির একজন ত্যাগী ও সফল নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন জেলা বিএনপির এই সংগ্রামী সভাপতি। বিগত সময়ে বিএনপির যে কোনো দলীয় কর্মসূচি আসলে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপকভাবে রাজপথে নেমে পড়েন মানিক। নিজে কারাবরণ করেছেন। অনেক মামলার আসামী হয়ে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এবং যুগ পেরিয়েও নেতা-কর্মীদের নিয়ে আদালতের বারান্দায় সময় কেটেছে তাঁর। বিএনপির রাজনীতিতে এসে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক অনেক নির্যাতনের শিকার হন। তিনি দায়িত্বে আসার পর ক্ষমতার স্বাদ এখনো পাননি।

শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। রাজনীতি ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের পাশে থাকতে গিয়ে অর্থ, ব্যবসা, বাড়ি-ঘর খুইয়েছেন। সরকার দলের নেতা-কর্মীদের আক্রোশের শিকার হয়ে দুই দফা তার শহরের বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। বাড়ির ভেতর দামি একটি স্পীডবোট ছিলো, সেটিও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের মতে, চাঁদপুরে বিএনপির রাজনীতিতে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক দুঃসময়ের কাণ্ডারী হয়ে আছেন নেতা-কর্মীদের পাশে। আর দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মতে, বিএনপি সরকারের সময়ের অনেক বাঘা বাঘা নেতা আওয়ামী সরকারের কঠিন সময়ে নিজেদের বাঁচাতে আড়ালে আবডালে থেকেছেন। কেউবা আবার সরকারি দলের সাথে আঁতাত করে চলেছেন। ঠিক তখনই সময়ের সাহসী সৈনিক হয়ে নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন এবং বর্তমানেও রয়েছেন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। তৃণমূলের এসব নেতা-কর্মী দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দলের ভেতরে ও বাইরে অপশক্তি চক্রের কোনো ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার ঐক্যবদ্ধ বিএনপি বরদাশত করবে না। শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বিকল্প নেতা চাঁদপুর-৩ আসনে এখনো তৈরি হয়নি। মানিক ভাই দুঃসময়ের সাহসী কাণ্ডারী। দেশে গণতন্ত্র ও বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে এ ধরনের ত্যাগী নেতাই দরকার।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়