প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ঢাকা থেকে গোপনে বাড়ি এসে মসজিদে আত্মহত্যা
প্রথম স্ত্রীকে ৪ মাস পূর্বে হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত গাড়ির গ্যারেজ মিস্ত্রি মানিক মিজি (৩০) এবার নিজেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন। যদিও মানিক মিজির পিতা গাড়ি মিস্ত্রি আনোয়ার হোসেন তা মানতে নারাজ। তার দাবি তার ছেলেকে যে কেউ মেরে ফেলেছে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ গতকাল ৮ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের আদশা গ্রামের একটি পাঞ্জেগানা মসজিদের ভেতর থেকে মানিক মিজির লাশ উদ্ধার করে। তিনি এক কন্যা সন্তানের জনক।
জানা গেছে, উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের আদশা গ্রামের মানিক মিজি গাড়ির গ্যারেজের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। চলতি বছরের ৪ এপ্রিল তার স্ত্রী রিমা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মানিক মিজির বর্তমান স্ত্রী হালিমা বেগম জানান, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে তার স্বামী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। দুদিন পূর্বে সে সহ ঢাকার বোনের বাসায় যান। ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে ঢাকায় সাভারে যাবেন বলে বাসা থেকে বের হন। সকালে শ্বশুর বাড়ি থেকে জানানো হয়, বাড়ির পাঞ্জেগানা মসজিদে তার লাশ পাওয়া গেছে।
মানিক মিজির বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে মানিক সকলের বড়ো। মাত্র ৪ মাস পূর্বে আমার ছেলের বউ রিমা ৪ বছরের মেয়ে রেখে আমাদের বাড়িতেই গলায় ফাঁস দেয়। এ নিয়ে অনেক হয়রানি হয়েছি। আজ আবার ছেলের লাশ পেলাম। মসজিদের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়েছে বললেও আমার বিশ্বাস হয় না। সে কখন বাড়ি এসেছে কেউ জানে না। এমনকি বাড়িতে থাকা আমার স্ত্রীও জানে না।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মোঃ শামসুজ্জামান জানান, আদশা গ্রামের মিজি বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়। চলতি বছরের ৪ এপ্রিল মানিকের স্ত্রী রিমা আক্তারও (এক সন্তানের জননী) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো। এরপরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন।