প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘বাংলাদেশ কর্নার’ উদ্বোধন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়েছে, সেই স্বপ্ন পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে শিক্ষার্থীদের রয়েছে গৌরবময় ভূমিকা। এ গৌরবময় অবদানকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ কর্নার’।
গত শনিবার ১৭ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে ‘বাংলাদেশ কর্নার’ উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব উল হক মজুমদারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
‘বাংলাদেশ কর্নার’ প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য হলো, ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন- সংগ্রামের ইতিহাস এখানে সংরক্ষিত থাকবে এবং প্রতিনিয়ত এগুলো সমৃদ্ধ হবে। ‘বাংলাদেশ কর্নার’ স্থাপনের বিষয়ে ড. মোঃ সবুর খান বলেন, ১৯৪৭-এর পর থেকে বাংলাদেশের প্রতিটা আন্দোলন ও পরিবর্তনের পেছনে ছাত্রদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন না হলে আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারতাম না।একইভাবে ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল বলেই ১৯৭১ সালে ছাত্ররাই প্রথম মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে। ১৯৯০- এর স্বৈরাচারী দুঃশাসন দূরীকরণে ছাত্ররাই প্রধান ভূমিকা রেখেছে। ২০১৫ সালে ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন, ২০১৮ সালে কোটা বিরোধী আন্দোলন এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্ররাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। যার ফলস্বরূপ একটি সফল গণঅভুত্থান সংঘটিত হয়, দেশ পতিত স্বৈরাচারের দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তি লাভ করে। আমরা নতুন করে দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক দেশের স্বপ্ন দেখছি।
বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের ওপর বই, গবেষণাধর্মী উপাদান, ছবি, পেপার কাটিং, ভিডিও, শহীদসহ আহতদের তথ্যাবলি লিপিবদ্ধ থাকবে বাংলাদেশ কর্নারে। বাংলাদেশ কর্নারে সংরক্ষিত ও প্রদর্শিত তথ্য সম্পদের মাধ্যমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও গবেষকরা বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস ও বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে সঠিক তথ্য প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।