সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

মতলবে খালা ও নানার বিরুদ্ধে এতিমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

রেদওয়ান আহমেদ জাকির ॥
মতলবে খালা ও নানার বিরুদ্ধে এতিমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৫নং উপাদী উত্তর ইউনিয়নের গাজী বাড়ি এলাকায় মা রানু বেগমের মৃত্যুতে এতিম পুত্র ও কন্যা সন্তানের পোস্ট অফিসে রাখা ১৫ লাখ টাকা খালা রোকেয়া বেগম ও নানা মোঃ মান্নান গাজী আত্মসাতের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

২৬ জুলাই শুক্রবার বেলা ১১টায় সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৭ মে রানু বেগম সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। পরে রানু বেগমের দ্বিতীয় স্বামী মোঃ সুহাদ হোসেন বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, চাঁদপুরে লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে বৈধ অভিভাবক হিসেবে আপসনামা দিয়ে লাশ দাফন করেন। এদিকে রানু বেগমের মৃত্যুর পর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উত্তোলিত ওয়ারিশ সনদে স্বামীর নাম বাদ দিয়ে ওয়ারিশ সনদ উত্তোলন করেন খালা ও নানা। এছাড়া নিহত রানু বেগমের পিতা মোঃ মান্নান গাজী মোকাম বিজ্ঞ মতলব সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, চাঁদপুর মোকদ্দমা নং- ৩৮/২০২৩ইং গার্ডিয়ানশীপের জন্য তার ছেলে মোঃ নূর আলম গাজীকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে মোকদ্দমা দায়ের করেন। এ মোকদ্দমার ৬নং শর্তে নাবালক পুত্র ও কন্যার লেখাপড়া, চিকিৎসাসহ যাবতীয় ব্যয়ভারের জন্য সঞ্চয়পত্রে রক্ষিত ১৫ লাখ টাকা তফসিল বর্ণিত নাবালক নমিনী হওয়ার কারণে ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য উত্তোলন করার জন্য পিতা ও পুত্র মোকদ্দমা দায়ের করেন। উল্লেখ্য, মৃত রানু বেগম বিগত ২০২১ সালের ১২ জুলাই প্রধান ডাকঘর চাঁদপুরে চলতি হিসাব নং-৬-৫৪৩১০০০০-৮৮০১, রেজিঃ নম্বর- ২০২১-০৬৯২০৩৩ নম্বরের পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে চেক নং- ২১৬৭৩৫৫-এ ১৫ লাখ টাকা নাবালক শাহরিয়া খানকে নমিনী করে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র জমা রাখেন।

একাধিক এলাকাবাসী জানায়, রানু বেগমের প্রথম স্বামীর ঔরসে এই দুই এতিম সন্তান। তাদের ভরণ পোষণের নাম করে খালা রোকেয়া বেগম ও নানা মান্নান গাজী টাকাগুলো আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে। উক্ত টাকা উত্তোলন না করে লভ্যাংশের টাকা উত্তোলন করে ও এতিম দুই সন্তানের ভরণ-পোষণ করা সম্ভব। এছাড়া রানু বেগমের নামে বহরী মৌজায় ৯ শতাংশ ভূমিও রয়েছে।

নিহতের দ্বিতীয় স্বামী সুহাদ হোসেন জানান, তারা এতিম সন্তানদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্যে আমার নাম ওয়ারিশ সনদ থেকে বাদ দিয়ে আমার শ্বশুর মান্নান গাজী ও আমার শ্যালক নূর আলম গাজী প্রার্থী ও প্রতিপক্ষ হয়ে বিজ্ঞ আদালতে গার্ডিয়ানশীপ মোকদ্দমা করেছেন। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে ওয়ারিশ সনদে আমার নাম অন্তর্ভুক্তির জন্যে আবেদন করলে তিনি তদন্তের জন্যে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার বরাবর আবেদনটি প্রেরণ করেন।

খালা রোকেয়া বেগম জানান, আমরা এতিম দুই সন্তানের ভরণ-পোষণের জন্য টাকা উত্তোলন করতে চেয়েছি। টাকা আত্মসাতের জন্যে নয়। এতো দিনতো কেউ খোঁজ-খবর নেননি। টাকার জন্যে এখন সবাই চলে এসেছে।

নানা মান্নান গাজী জানান, আমার মেয়ে রোকেয়া বেগমের পরামর্শে বিজ্ঞ আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করে গার্ডিয়ানশীপ পাওয়ার জন্যে মোকদ্দমা দায়ের করেছি। টাকা পেলে ওই দুই সন্তানের নামেই রেখে দিবো।

ওই ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল গাজী জানান, তারা ওয়ারিশ সনদ চেয়েছে। আমি স্বাক্ষর করে দিয়েছি। কোনো ওয়ারিশ বাদ পড়লে আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশোধন করা যাবে। এতিম সন্তানের টাকার বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি।

৫নং উপাদী উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সহিদ উল্যাহ প্রধান জানান, ওয়ারিশ সংশোধনের কোনো আবেদন পাইনি। আবেদন পেলে যাচাই-বাছাই করে ওয়ারিশ সংশোধন করা হবে। এতিম দুই শিশুর টাকা আত্মসাতের বিষয়টি আমি অবগত নই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়