প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ০০:০০
ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে গেছে বিদ্যালয়ের চাল ॥ পাঠদান ব্যাহত
ঘূর্ণিঝড় রেমালের ঝড়ো হাওয়ায় পুরো বিদ্যালয়ের টিনের চাল উড়ে গেছে। এতে করে সাড়ে ৫শ’ ছাত্রীর পাঠদান মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ ঘটনার পর থেকে তিন রুমের পাকা ভবনের বারান্দায় পাঠদান করানো হচ্ছে। ২৭ মে সোমবার বিকেল ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জের কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের আল বান্না মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
২৮ মে মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের পশ্চিম পাশে তিন রুমের পাকা ভবনের একটি প্রধান শিক্ষকের রুম, পাশের রুমে শিক্ষক মিলনায়তন, তার পাশের একটি রুমে দশম শ্রেণির ক্লাস চলছে। এই ভবনের বারান্দায় ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন অন্য দুজন শিক্ষক।
এই স্কুলের পূর্ব পাশের ১১০ফিট/২৫ ফিট ও ৭০ ফিট/১৮ ফিটের দুটি টিনশেট ভবনের পুরো চাল এবড়ো-থেবড়ো হয়ে মাঠের মাঝখানে পড়ে আছে। টেবিল, ব্লাক বোর্ড, বৈদ্যুতিক পাকা সব বৃষ্টির পানিতে ভিজে একাকার।
গত কয়েক মাস আগে দুটি ভবন ২০ লাখ টাকায় তৈরি করা হয়েছিল। প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, চাল উড়ে যাওয়া দুটি ভবনে দুই শিফটে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির পাঠদান হতো। দুর্ঘটনার পর মানে গতকাল (মঙ্গলবার) বারান্দায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস নেয়া হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার জানান, এই মুহূর্তে সরকারি বা বেসরকারি কোনো অনুদান না পেলে এবং চালগুলো মেরামত করতে না পারলে মেয়েদের পাঠদানে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি ঘটনাটি শুনেছি। দেখি কী করা যায়।