বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৪, ০০:০০

সরেজমিন প্রতিবেদন-৫ : শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন

কৃষকরা জানেন না কৃষি কর্মকর্তার কাজ কী

সোহাঈদ খান জিয়া ॥
কৃষকরা জানেন না কৃষি কর্মকর্তার কাজ কী

চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলী ও কুমারডুগী ব্লকের দায়িত্বে রয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোরছাল আহমেদ। কৃষি অফিসার হিসেবে তার কী কাজ কৃষকরা জানেন না। কৃষকরা কৃষি অফিসার চিনেন না আর কৃষি অফিসার চিনেন না কৃষকদের। কবে কখন কৃষি অফিসার এসেছেন তাও তাদের জানা নেই-এমন কথা বলেন কৃষকরা। তিনি নিজ বাড়ি থেকে এসে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কৃষি অফিসার কৃষকদের চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিকট বেশি পরিচিত। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে এসে ও গুটিকয়েক কৃষকের নিকট ফোন করে খোঁজ খবর নিয়ে চলে যান। ব্লক এলাকায় আসতে চান না। মেম্বার ও চেয়ারম্যানের নিকট কথা বলে চলে যাওয়াটা তার নিয়মে পরিণত হয়েছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোরছাল আহমেদের বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাধি গ্রামে। তিনি খুব আরামণ্ডআয়েশে গরম ভাত খেয়ে সৌখিনতার সাথে বাড়ি থেকে এসে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

এ ব্যাপারে শাহতলী গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন বলেন, কৃষি অফিসারের কাজ কী। এ ব্লকে একজন কৃষি অফিসার যে আছেন তা আমরা জানি না। কৃষি অফিসার এসেছেন তা বলতে পারবো না। আমরা তাকে কখনো দেখি না। পশ্চিম কুমারডুগী গ্রামের মোঃ লিয়াকত আলী বলেন, গত ২ বছর ধরে আমি কোনো কৃষি অফিসার দেখি না। আমরা সরকারিভাবে কৃষি বীজসহ কোনো কিছু পাইনি। কৃষি অফিসার হিসেবে কে দায়িত্বে আছেন আমার জানা নেই। এবছরও আমার ধানের জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

ভড়ংগারচর গ্রামের শাহআলম তফদার বলেন, ৩/৪ বছর ধরে কৃষি অফিসার আমাদের এলাকায় আসতে দেখি না। কে দায়িত্বে আছেন তাকে চেনা দূরে থাক তার নামটাও জানি না।

শাহতলী গ্রামের মোবারক কারী, দুলাল গাজী, আবু তাহের গাজী, রফিক গাজী, লোকমান মিজি, লিটন মিজি, আবু কালাম ও সোবহান বলেন, আমরা সরকারিভাবে কোনো বীজ-সারসহ কোনো কিছু পাই না। কে এখানে দায়িত্বে আছেন চিনি না। আমাদের ধানের ক্ষতি হলেও কৃষি অফিসার এসে দেখে যান না।

এ ব্যাপার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোরছাল আহমেদ বলেন, আমি আমার ব্লক এলাকায় গিয়ে কৃষকদের খোঁজ-খবর নেই। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার ও কিছু কৃষকের নিকট আমার মোবাইল ফোন নাম্বার দেয়া আছে। এখন আপনার কাছে কেউ চাইলে দিয়ে দিবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়