মৈশাদী ইউনিয়নে কৃষি কর্মকর্তা নামে আছে কাজে নেই

চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দ্দি ব্লকের দায়িত্বে রয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম। তিনি নামে আছেন কাজে নেই। কবে কখন ব্লকে গিয়েছেন তা নিজেও জানেন না। প্রভাবশালী ২/৩ জন কৃষকের সাথে যোগাযোগ করে চলে যান। এমন অভিযোগ করেন কৃষকরা। সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া তো দূরের কথা কৃষি অফিসারকে চিনেন না কৃষকরা। আড়াই থেকে তিন বছরের মধ্যে কোনো কৃষি অফিসার আসেন নি। কে এই ব্লকে দায়িত্বে আছেন তার নাম কী তাও জানেন না। তাকে চিনেন না। ধান চাষাবাদের পাশাপাশি আলু, ভুট্টা, গম, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করা হলেও সরকারিভাবে কোনো কিছুই পাননি কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তা তার ব্লক এলাকা নিজেই চিনেন না, তা না হলে ব্লক এলাকায় না আসার কারণ কী? বিভিন্ন সময় ফসলের ক্ষতি হলেও সে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্যে কৃষি কর্মকর্তা পরামর্শ ও সাহস দেওয়ার জন্যেও আসেন নি। এক কথায় বলা চলে, এ ব্লকের কৃষকরা সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। চাকুরির সুবাদে তিনি চাঁদপুর শহরের ওয়্যারলেস এলাকায় সৌখিন জীবনযাপন করে আসছেন।

হামানকর্দ্দি গ্রামের বাসিন্দা, সাবেক ইউপি সদস্য ও ব্যবসায়ী মোঃ বারেক খান বলেন, গেল ইউপি নির্বাচনের পর থেকে আমার এলাকায় কোনো কৃষি কর্মকর্তাকে দেখি না। কে এই ব্লকের দায়িত্বে আছেন তা আমাদের জানা নেই। এমনকি কৃষি কর্মকর্তাকে আমরা চিনি না। আমার এলাকার কৃষকরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত।

দক্ষিণ হামানকর্দ্দি গ্রামের কৃষক আমিন সর্দার বলেন, আমরা কৃষি অফিসারকে ৭/৮ বছরেও দেখি নি। বিভিন্ন সময় আমাদের ফসলের ক্ষতি হলেও সরকারিভাবে বীজ ও সারসহ কোনো কিছুই পাই নি। আমরা নিজেদের চেষ্টায় ও বুদ্ধিতে ফসল চাষাবাদ করে আসছি। কৃষি অফিসার এসে আমাদেরকে কোনো পরামর্শ দেওয়া দূরের কথা, এলাকায় আসেনই না।

মনির সর্দার বলেন, আমার কৃষি কার্ড আছে। কোনো সময় কৃষির কোনো কিছু পাইনি। কৃষি অফিসার আমার এলাকায় আসেন না। আমরা সরকারিভাবে বীজ, সারসহ কোনো কিছু পাই না। ফসলের ক্ষতি হলে পরামর্শও পাইনি।

এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, এখানে আমি নতুন। আমি ব্লক এলাকায় যাই। সকল কৃষকের সাথে হয়তো দেখা হয় না। কয়েকদিন আগে নির্বাচনী ট্রেনিংয়ে ছিলাম। প্রধান প্রধান কৃষককে আমার ফোন নাম্বার দিয়েছি কোনো সমস্যা হলে কল করার জন্যে।