বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ০০:০০

সরেজমিন প্রতিবেদন-৩ : বাগাদী ইউনিয়ন

এলাকায় কৃষি অফিসারের নামগন্ধও নেই

সোহাঈদ খান জিয়া ॥
এলাকায় কৃষি অফিসারের নামগন্ধও নেই

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের গাছতলা ব্লক এলাকার দায়িত্বে আছেন। কিন্তু তিনি ব্লক এলাকায় না গিয়ে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছেন। ব্লক এলাকায় কৃষকরা তাকে কখনো চোখে দেখেননি বলে অভিযোগ করেন। ব্লক এলাকায় তার কোনো নামগন্ধও নেই। তাকে কৃষকরা চেনার তো দূরের কথা, নামই জানেন না অনেকে। গত ৫ বছরেও কোনো কৃষি কর্মকর্তা গাছতলা ব্লকে যাননি বলে ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান। এতে কৃষকদের ফসল নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ তো দূরের কথা, সঠিক দিকনির্দেশনাও পাননি। সরকারি সার, বীজ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বাড়ি লালমনিরহাট। চাকুরির সুবাদে তিনি চাঁদপুর শহরের ওয়্যারলেসবাজার এলাকায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করে আসছেন।

এ ব্যাপারে মকিমপুর গ্রামের কৃষক মুকবুল খান ও নিজ গাছতলা গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের গ্রামে এ বছর কোনো কৃষি অফিসার আসেননি। গত ৫ বছরেও কোনো কৃষি কর্মকর্তাকে আমরা এলাকায় দেখিনি। এলাকায় কৃষি অফিসারের নামগন্ধও নেই।

তারা বলেন, আমরা বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে থাকি। ফসলের ক্ষতি হলেও আমাদেরকে পরামর্শ দেয়ার জন্যে কৃষি অফিসার আসেন না। আমরা শতাংশ অনুযায়ী ৩/৪ মণ আলু পেয়ে থাকি। এ বছর আলুর ক্ষতি হওয়ায় দুবার আলু রোপণ করে শতাংশ অনুযায়ী ২০ কেজি করে আলু ঘরে উত্তোলন করি।

কৃষক আসলাম খান বলেন, আলু, আখ, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করি। কৃষি অনুদান পাইনি। ফসলের ক্ষতি হলে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ পাই না।

ব্যবসায়ী হাবিব খান বলেন, শুনেছি কৃষকদের জন্যে ইউনিয়নে কৃষি কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছেন। কিন্তু কখনো কৃষি কর্মকর্তাকে আমরা দেখি না কৃষকদেরকে সঠিক পরামর্শ দেয়ার জন্যে এলাকায় এসেছেন।

মুদি দোকানি রাসেল খান বলেন, আমার দোকানের পাশ দিয়ে মকিমপুর গ্রামের রাস্তা। কোনোদিন দেখি না কৃষি কর্মকর্তাকে এলাকায় আসতে। ৫/৬ বছরের মধ্যে কোনো কৃষি কর্মকর্তা এলাকায় আসেননি। আসলে কোনো না কোনো কৃষককে আমার দোকানে এসে খোঁজ করতো।

এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আমি এখানে এসেছি ছয়মাস হলো। একটি মৌসুম পেয়েছি। আমি আমার ব্লক এলাকায় গিয়ে কৃষকদের খোঁজখবর নিই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়