প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৪, ০০:০০
সরেজমিন প্রতিবেদন-২ : ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন
‘কৃষি অফিসার স্যারকে আমরা চিনি না’
কৃষকদের সুবিধার্থে সরকার প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন। কৃষকরা চিনেন না দায়িত্বশীল এ ব্যক্তিদের। চাকরির সুবাদে দু-চারজন কৃষককে ম্যানেজ করেই দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ, ইব্রাহিমপুর ও চরফতেজংপুর তিনটি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলামকে অনেকেই চিনেন না। তিনি নিয়মিত ব্লক এলাকায় যান না। মাঝে মধ্যে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্যদের নিকট খোঁজখবর নিয়ে চলে আসেন। যার ফলে অনেক কৃষক এ কর্মকর্তাকে চিনেন না।
ইউনিয়নের ২টি ব্লক মেঘনার পশ্চিম পাড়ে হওয়ায় নিয়মিত ব্লক এলাকায় না যাওয়ার কথা বেশি শোনা যায়। ঝড়-বৃষ্টি হলে তো কোনো কথাই নেই। ব্লক এলাকায় যাওয়া তো দূরের কথা বাসা থেকেই বের হন না। ওইদিনও ব্লক এলাকায় যাওয়ার হিসাব কষে থাকেন। আর মাঝে মধ্যে গেলেও ১/২ ঘণ্টা থেকে চলে আসেন। ব্লক এলাকাগুলো মেঘনা নদীর কাছাকাছি হওয়ায় সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
অনেক কৃষক জানান, আমরা কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। সঠিক দিকনির্দেশনা না পেলে ক্ষতির মুখে পড়বো। কৃষি অফিসার স্যারকে আমরা চিনি না। কখন আসেন আবার কখন চলে যান তা আমাদের জানা নেই।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমি একটি ব্লকে দায়িত্ব পালনের কথা। কিন্তু আমি ৩টি ব্লকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে ২টি ব্লক এবং পূর্ব পাড়ে ১টি ব্লক রয়েছে। ৩টি ব্লকই আমাকে দেখতে হয়। ৩টি ব্লকের ৩০ জন কৃষকের আউশ ধানের বীজ বরাদ্দ আসে। এ বীজকে কেন্দ্র করে আমার নামে অভিযোগ করেছে।