শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটিতে পদ পেলেন ইউনিয়ন বিএনপির উপদেষ্টা!

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥
আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটিতে পদ পেলেন ইউনিয়ন বিএনপির উপদেষ্টা!

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটিতে সদস্য পদ পেলেন বিএনপি নেতা মোঃ আব্দুল আউয়াল খান। তিনি কচুয়া উপজেলার ১০নং গোহট উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির উপদেষ্টা। এ কমিটিটি স্থানীয় গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয় কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ সাধারণ মানুষের মাঝে।

এ ব্যাপারে মোঃ আব্দুল আউয়াল খান জানান, এক সময় আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করি। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। গত ১২ মার্চ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কচুয়া উপজেলার পালগিরি গ্রামের কৃতী সন্তান খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দীকে চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফাকে সদস্য সচিব করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির ২০২২-২০২৫ মেয়াদের কমিটি প্রকাশ করা হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে এ কমিটির অনুমোদন দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি।

সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, গোহট উত্তর ইউনিয়নের পালগিরি গ্রামের খন্দকার মোবারক মাওলানার ছেলে খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দী। তার চাচা খন্দকার ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত আব্দুর রব মুসলীম লীগ থেকে কচুয়া আসনে নির্বাচন করেছেন। তার চাচাতো ভাই খন্দকার হারুনুর রশিদ কচুয়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির ছিলেন এবং এ আসন থেকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন। খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দী কালিয়াপুুর দরবার শরিফের মুরিদ এবং আব্দুল আউয়াল তার পাশের বাড়ির। সে সুবাদে খন্দকার গোলাম মাওলা নকশেবন্দীর সাথে সুসর্ম্পক গড়ে তুলে আব্দুল আউয়াল কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটিতে পদ বাগিয়ে নেন।

গোহট উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সিরাজ মেম্বার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু আব্দুল্লাহ নয়ন জানান, মোঃ আব্দুল আউয়াল খান বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। আগের কমিটিতে আব্দুল আউয়াল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন, আর বর্তমানে উপদেষ্টা। এছাড়া সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ.ন.ম. এহসানুল হক মিলনের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কবির হোসেন জানান, মোঃ আব্দুল আউয়াল ২০০১ থেকে ২০০৬ পযর্ন্ত ইউনিয়নবাসীর কাছে এক আতংকের নাম ছিলো। আওয়ামী লীগের নেতা থেকে শুরু করে সমর্থকরাও তার অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এমন কোনো কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলো না যে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মারধর, জমিজমা দখল ও ধর্ষণ তার নিত্যদিনের কর্মকাণ্ড ছিলো। আমি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কবে কোথায় আব্দুল আউয়াল আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে তা আমার জানা নেই।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। একজন বিএনপি নেতা কীভাবে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হলেন তা আমার বোধগম্য নয়। যা স্থানীয় আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই মানতে পারছে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়