প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২১, ০০:০০
মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের পূর্ব বাড়ৈগাঁও গ্রামে সম্পত্তিগত বিরোধে মারামারির সময় আকস্মিক মারা যাওয়া মসজিদের ইমামের লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরে ২৬ জুন বাদ আছর জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনোপ্রকার আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেনু বেপারী স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন। এতে কারো কোনো হাত নেই। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিরোধপূর্ণ জায়গায় আক্তার হোসেন গং ঘর নির্মাণ করতে গেলে আব্দুর রাজ্জাক ওরয়ে রেনু বেপারী বাধা দিতে গেলে নিহতের বড় বাই শহিদ বেপারী এবং ভাগিনা আক্তার হোসেন গংয়ের মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, নিহত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেনু মিয়ার লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনোপ্রকার অভিযোগ করা হয় নি। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য, উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের পূর্ব বাড়ৈগাঁও বেপারী বাড়ির মৃত আলী আহাম্মদ বেপারীর ছেলে আঃ রাজ্জাক ওরফে রেনু বেপারীর সাথে সম্পত্তি নিয়ে প্রতিপক্ষের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গত ২৪ জুন প্রতিপক্ষ ভাগিনা আক্তার হোসেন বিরোধপূর্ণ জায়গায় ঘর তুলতে গেলে বাধা দেন আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রেনু বেপারী। পরের দিন ২৫ জুন সকালে আক্তার হোসেন লোকজন নিয়ে একই জায়গায় ঘরের কাজ করতে গেলে আব্দুর রাজ্জাক পুনরায় বাধা দেন। এ সময় আক্তার হোসেনসহ লোকজন তাকে মারধর করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তখন আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নারায়ণপুর টাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।