প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বিএনপির কাউকে ভোটকেন্দ্রে দেখা যায়নি
হাজীগঞ্জে কম ভোটারের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ ভোট
সকল নির্বাচন থেকে এবারে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি একেবারে কম বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। দেশের প্রধান একটি রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ না থাকার কারণসহ নানান কারণে এবারের নির্বাচনে চোখে লাগার মতো ভোটার উপস্থিতি হয়নি বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন। হাজীগঞ্জে উনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাচনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটার উপস্থিতি যাই হোক, স্ব স্ব প্রার্থীর লোকদের মাঝে এক আনন্দের দিন পার হয়েছে বলে সমর্থকরা জানিয়েছেন।
সরজমিনে উপজেলার বাকিলা, বলাখাল, সপ্তপ্রাম ও হাজীগঞ্জ সরকারি পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হলেও মূলত ৯টা কিংবা সোয়া ৯টা পর্যন্ত প্রায় ভোটকেন্দ্রগুলো পুরোপুরি ভোটারবিহীন ছিলো। সাড়ে ৯টার পর থেকে কেন্দ্রগুলোতে আস্তে আস্তে ভোটার আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কেন্দ্রে ভোটার আসতে শুরু করে। অতীতের অন্য সকল নির্বাচনের মতো এবারো নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। বলাখাল যোগেন্দ্র নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটারের উপস্থিতিতে কেন্দ্র ছিলো সরগরম। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সপ্তগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বুথেই সাড়ে ৩শ’ ভোটার ভোট দিতে দেখা গেছে।
কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে বহু ভোটারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এমনিতে বিএনপি ভোট কেন্দ্রে আসেনি। গত কয়েক দিন ধরে বিএনপির কিছু কর্মী-সমর্থক নৌকার বাইরে ভিন্ন প্রতীকে প্রকাশ্যে নির্বাচন করেছে, সেই তারাই ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। এটা নিয়ে সেই সকল প্রার্থীর লোকেরা সমালোচনা করতে দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের লোকজন মনে করেছেন নির্বাচনের ফলাফল যা-ই আসুক আওয়ামী লীগই আসছে। যে কারণে আওয়ামী লীগেরই বহু ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেনি।
এদিকে বিএনপি ভোট বর্জন করার কারণে বিএনপির পরিচিত কোনো নেতাকে ভোটকেন্দ্র যেতে দেখা যায়নি। তবে অনেক নেতা-কর্মী ভোটকেন্দ্রের বাইরে হাঁটাহাঁটি করেছেন বলে সরজমিনে দেখা গেছে। উক্ত নির্বাচনকে ডামি নির্বাচন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরগরম থাকতে দেখা গেছে বিএনপিকে। সকাল ১০টার দিকে হাজীগঞ্জ-কচুয়া সড়কের শহীদ আলী আজ্জম সড়কের চৌরাস্তায় বিএনপির কিছু সমর্থক টায়ারে আগুন দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে তা নিভিয়ে ফেলে।
এদিকে ভোট গ্রহণকালীন হাজীগঞ্জ উপজেলার কোথায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা আগের সকল নির্বাচন থেকে কম দেখা গেছে।