প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
আওয়ামী লীগের মার্কা নৌকা, অন্য কোনো মার্কা নয়
----মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম
আপনারা নৌকায় ভোট দিবেন। নৌকা আওয়ামী লীগের মার্কা। আওয়ামী লীগের অন্য কোনো মার্কা হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীকে ফের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হলে নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে। ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিশাল জনসভায় এসব কথা বলেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি।
হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাহবুব উল আলম লিপনের সভাপ্রধানে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম আরো বলেন, জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা আমাকে একবার দুইবার নয় ৬ষ্ঠবারের মতো নৌকা প্রতীক দিয়েছেন।
এর আগে ৫ বার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে ৪ বার আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। এবারও আপনারা আমাকে নির্বাচিত করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন। তিনি আরো বলেন, আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর উপর ৮টি ব্রীজ করেছি, যা দেশের অন্য কোনো নির্বাচনী এলাকায় পাওয়া যাবে না। শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। ব্যাপক উন্নয়নের মধ্যে প্রায় ৭শ’ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পাকাকরণ করেছি, প্রায় ৭শ’ ব্রিজ-কালভার্ট ও প্রায় ৬শ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ করেছি। যা সামান্য কিছু কাজ ছাড়া সকল উন্নয়ন করা হয়েছে। যারা আবেদন করেছে তাদের সব ভূমিহীনদের ভূমিসহ পাকা ঘর দেয়া হয়েছে। ডাকাতিয়াকে আমরা খনন করেছি। বিদ্যালয়ে আসার জন্যে গরিব, দুঃস্থ শত-শত শিক্ষার্থীর মাঝে বাইসাইকেল দেয়া হয়েছে।
উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এই জনসভায় মেজর রফিক আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা জানেন আমার কারণে বাজারে চাঁদাবাজি হয় না। সাধারণ মানুষ জানে, আমি আছি বলেই সন্ত্রাসীরা বেশি লাফালাফি করতে পারে না। তারা চাচ্ছে, আমাকে সরিয়ে এই এলাকার দখল নিয়ে আপনাদেরকে জিম্মি করবে। সেটা হতে দিবেন না। কোনো সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজিকে এখানে চলতে দেবো না। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে ওইসব শয়তানের রাস্তা আমরা বন্ধ করে দেবো। আমি কোনো সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজকে আশ্রয় দেই না। সেজন্যেই তারা একত্রিত হয়েছে।
নিন্দা জানিয়ে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম বলেন, আমি শুনেছি প্রয়াত দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রব সম্পর্কে তারা কিছু কটুক্তি করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। রব সাহেব আমাদের শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তি। তিনি হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তির গৌরব ছিলেন। এসব ব্যক্তিদের যারা কটুক্তি করে, তারা নিম্ন পরিবারের। তারা ভালো মানুষ নয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় জনসভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মোঃ নাদিম। এরপর পৌর মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপনের স্বাগত বক্তব্যের পর বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খালেদুর রব মিঠু। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহম্মদ, আবু তাহের, ফরহাদ হোসেন রতনসহ অন্য মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটাঃ আহসান হাবিব অরুণ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বিল্লাল হোসেন মজুমদার, আওয়ামী লীগ নেতা ইকবালুজ্জামান ফারুক, আলহাজ্ব সেলিম মিয়া, অধ্যাপক স্বপন কুমার পাল, অধ্যাপক মোঃ সেলিম, আলহাজ্ব সৈয়দ আহাম্মদ খসরু, হুমায়ুন কবির লিটন, রোটাঃ এস.এম. মানিকসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রানা, সাধারণ সম্পাদক শুকুর আলম গাজী, যুবলীগের আহ্বায়ক মাসুদ ইকবাল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা ফরিদুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বিসহ উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।